প্রশ্নফাঁসের বড় দুই চক্রের ৪৬ জন গ্রেফতার: সিআইডি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারী ২০১৯ ০৯:৩৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫১ বার।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে, নিয়োগ ও ভর্তিতে প্রশ্নফাঁস এবং ডিজিটাল জালিয়াতের দুই আলাদা চক্রকে তারা আইনের আওতায় এনেছে। সর্বশেষ ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াত চক্রের মূল হোতা হাফিজুর রহমান হাফিজ ও মাসুদ রহমান তাজুলসহ এখন পর্যন্ত দু'টি চক্রের ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

 

এ সময় আরও জানানো হয়, ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষায় মূলত দুইভাবে জালিয়াতি হয়। একটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করে এবং অন্য চক্রটি পরীক্ষার দিন প্রশ্ন সংগ্রহ করে সমাধান বের করে। এরপর ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে তা পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হয়। সিআইডি প্রশ্নফাঁস চক্রটিকে আগেই শনাক্ত করেছে এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করেছে। এবার তারা ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াতি চক্রটির সদস্যদেরও গ্রেফতার করেছে।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত কয়েক দিন অভিযান চালিয়ে ডিজিটাল জালিয়াত চক্রের মূল হোতা বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাস, ৩৮তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ইব্রাহীম মোল্লা, বিএডিসির সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, আইয়ুব আলী বাঁধনসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রটি বিসিএস পরীক্ষায়ও জালিয়াতি করেছে। গ্রেফতার অলিপ, ইব্রাহীম, মোস্তফা, তাজুল, হাফিজ ও বাঁধনের প্রত্যেকের নিজস্ব সহযোগী চক্র ছিল।

 

সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া ৯ জনের মধ্যে হাফিজ জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এবং তাজুল ব্যবসায়ী। বাকিদের মধ্যে আবদুর রহমান রমিজ, সাইদুর রহমান ও মোহায়মিনুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসির ছাত্র, রিমন গ্রিন ইউনিভার্সিটির ছাত্র, জাহাঙ্গীর আলম অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার, মোশারফ হোসেন মোসা ঢাকা কলেজের পিওন, অসীম বিশ্বাস ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। খবর সমকাল অনলাইন