শেরপুরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসকে পেছন থেকে আরেক বাসের ধাক্কা নিহত: ১ আহত: ২৫

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:৪১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫০ বার।

বগুড়ার শেরপুরে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাসকে অপর একটি বাস পেছনকে থেকে ধাক্কা দেয়ায় প্রাণ গেলো এক হেলপারের। তাঁর নাম আমিন চন্দ্র শীল (৫০)। তিনি জেলার শাজাহানপুর উপজেলার মাসিন্দা গ্রামের মৃত রাজেন চন্দ্র শীলের ছেলে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ২৫জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষনিক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। রোববার  বেলা ১২টার দিকে উপজেলা ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগা বটতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।


হাইওয়ে পুলিশ নন্দীগ্রাম কুন্দারহাট ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজল কুমার নন্দী এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জয়পুরহাট থেকে পাবনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বিআরটিসি পরিবহনের একটি বাস উক্ত স্থানে পৌঁছলে বাসের একটি চাকা পাংচার হয়ে যায়। তাই বাসটি মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে মেরামত করা হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় একই দিক আসা ঢাকাগামী এসআই পরিবহনের অপর একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকা সেই বাসটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে উক্ত পরিমান ব্যক্তিরা আহত হন। শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেশন অফিসার রতন হোসেন জানান, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে এসআই পরিবহন বাসের হেলপার আমিন চন্দ্র শীল মারা যান। এছাড়া গুরুতর আহতদেও বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন- শেরপুর উপজেলার ইয়াসিন আলী (২০), জেলার গাবতলী উপজেলার ফজলুর রহমান (৪০), নন্দীগ্রাম উপজেলার রফিকুল ইসলাম (৩০), সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলমতি বেগম (২৫), একই উপজেলার সাথী আক্তার (৪০), পাবনার সাথিয়া উপজেলার শামিমা বেগম (২৬) ও তাঁর ছেলে মো. সোহাগ (৬)। এরমধ্যে ৪জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ষ্টেশন অফিসার রতন হোসেন জানান।