ধুনটে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্নহত্যা

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:৩২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৪৩ বার।

দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনটে রোজিনা খাতুন নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা আত্নহত্যা করেছেন। তিনি ধুনট থানায় সহকারি সাব ইন্সপেক্টর (এএসআই) পদে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি পুকুরে মাছ মেরে ফেলার গ্যাস ট্যাবটেল খান। রাত ১০টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। এরপর ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। তার স্বামী হাসান আলী সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক। তাদের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।  রোজিনা খাতুন এএসআই পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি বগুড়ার ধুনট থানায় যোগদান করেন। ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থানা ভবনের পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার স্বামী হাসান আলী চাকুরির সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকেন।
স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ধুনটের ভাড়া বাসায় বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে রোজিনা খাতুন। এসময় রোজিনার মা ও বাবা ওই ভাড়া বাসায় ছিলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা রোজিনা খাতুনকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টায় তার মৃত্যু হয়।

রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া পুণ্ড্রকথাকে বলেন, কয়েক বছর ধরে জামাতার সাথে আমার মেয়ের পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। জামাতা হাসান আলী বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। সেখান থেকে শনিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। জামাতা চলে যাওয়ার পর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল। এ অবস্থায় রোজিনা ভাড়া বাসায় গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে। 
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে রোজিনার উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। তার আগেই সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার আত্নহত্যার কারন উদঘাটন করা হবে।