এবারের ক্যাপসুলগুলো বাংলাদেশ ও কানাডায় তৈরি

৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় প্রায় ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানে হবে

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১১:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৫৯ বার।

এবার বাংলাদেশ ও কানাডায় তৈরি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে শিশুদের। সারাদেশের ন্যায় বগুড়ায় আগামী  ৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ওই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. শামসুল হক ওই তথ্য জানান। 
বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডা. শামসুল হক বলেন, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের জন্য তৈরি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলগুলো কানাডা থেকে আমদানি করা হয়েছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে উৎপাদিত ওই ক্যাপসুলগুলো ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিশুদের খাওয়ানো যাবে। এছাড়া ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের জন্য লাল ক্যাপসুলগুলো এদেশীয় ওষুধ কোম্পানী রেনাটা লিমিটেড উৎপাদন করেছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উৎপাাদিত লাল রঙের সেই ক্যাপসুলগুলোর ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন ডা. শামসুল হক বলেন, ‘ক্যাপসুলগুলো পরীক্ষার পর শিশুদের খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি সারাদেশে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। তবে ‘গ্লোব ইন্ডিয়া’ নামে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত ওই ক্যাপসুলগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় শেষ মুহুর্তে তা বাতিল করা হয়। ডেপুটি সিভিল সার্জনের দায়িত্বে থাকা বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু জানান, অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে রক্ষা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ডায়রিয়ার ব্যপ্তিকাল ও জটিলতা কমানোসহ সার্বিকভাবে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্য নিয়েই সারাদেশে ছয় মাস পর পর বছরে দু’বার শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। আগামী  ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় ২ হাজার ৭৮৬টি কেন্দ্রে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৪২০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১মাস বয়সী ৬২ হাজার ৫ শিশুকে নীল রঙের এবং লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৪১৫ শিশুকে। এর আগে ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই ৪ লাখ ৮৫ হাজার শিশুকে ওই ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। 
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. শামসুল হক জানান, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেলে শিশুদের সব ধরনের রোগে মৃত্যুর হার গড়ে ২৪ শতাংশ হ্রাস করে। এছাড়া ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার ৩৩ শতাংশ এবং হামজনিত রোগে মৃত্যুর হার ৫০শতাংশ কমিয়ে আনে। তিনি বলেন, ‘ইতিপূর্বে যে ক্যাপসুলগুলো বাতিল করা হয়েছে সেগুলোর মান খারাপ ছিল না। তবে একটি ক্যাপসুলের সঙ্গে অপর ক্যাপসুল লেগে থাকার কারণে জনমনে যাতে কোন সন্দেহ না হয় সেজন্য সেগুলো বাতিল করা হয়েছে।’