৩৩ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১১:৪৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৮ বার।

দেশের বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী ৩৩ শতাংশ যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে বৃহস্পতিবার দাখিল করা ১৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

৫৬ শতাংশ বাসের গতি নিয়ন্ত্রক সার্টিফিকেট নেই বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আদালতে বিআরটিএর পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ।

আইনজীবী তানভির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট ১৬ সদস্যের একটি কমিটি করে জাতীয়ভাবে সারাদেশের পরিবহনগুলোর ওপর একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করতে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে ফিটনেসহীন পরিবহনের তালিকা করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকে আহ্বায়ক করে এবং বিআরটিএ’র সচিবকে সদস্য সচিব ঘোষণা করে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দফতর, হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, সড়ক ও জনপদ অধিদফতর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটের যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ, বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির একজন করে প্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদকে ওই কমিটির সদস্য রাখা হয়।

তানভির বলেন, এ কমিটি একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে ৩৩ শতাংশ যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস নেই এবং ৫৬ শতাংশ বাসের গতি নিয়ন্ত্রক সার্টিফিকেট নেই। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধের কারণ ও রোধের বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত একটি পর্যবেক্ষণ করতেও প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।

গত বছরের ৩১ জুলাই বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ চালিয়ে তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলে এ নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।