ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে কোচিং খোলা রাখায় বগুড়ায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা: ৩ শিক্ষকের পলায়ন

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৯১৪ বার।

এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন কোচিং খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ায় বগুড়া শহরের ৩টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হাই সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই আদালত পরিচালনা করেন। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা আদালতকে সহযোগিতা দেন।
যে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে সেগুলো হলোঃ শহরের সেউজগাড়ির ‘এনামুল গণিত হোম’, একই এলাকার ‘ফারুক টিচিং’ ও উপশহর এলাকার ‘মিজান গণিত’। তাদেরকে ২০০ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৩ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। অবশ্য প্রত্যেকেই জরিমানা পরিশোধ করায় কাউকে আর জেলে যেতে হয়নি।
তবে অভিযানের খবর পেয়ে জলেশ্বরীতলা এলাকার টিপু (পদার্থ), সোলায়মান (রসায়ন) ও রফিক (বাংলা) নামে তিন শিক্ষক তাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের রেখে পালিয়ে যান।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের কোচিং না করালেও অফিস খোলা রাখায় বাকি ৯টি প্রতিষ্ঠানকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এগুলো হলো: জলেশ্বরীতলা এলাকার ‘অরবিট কোচিং’, ‘সাইফুরস্ কোচিং’, ‘ইপিপি কোচিং’ ও ‘আকাঙ্ক্ষা’ কোচিং’। সেউজগাড়ি এলাকার ‘মা টিউটোরিয়াল’ এবং ‘বিকন একাডেমি’ ও উপশহর এলাকার ‘এবিসি কোচিং’, ‘ক্রিয়েটিভ কোচিং’ ও ‘ক্রিয়েশন কোচিং’।
আদালত সূত্র জানায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শহরের জলেশ্বরীতলা, সেউজগাড়ি এবং উপশহর এলাকায় উল্লেখিত কোচিংগুলোতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস নেওয়া হচ্ছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হাই সিদ্দিকী জানান, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন কোচিং বন্ধ রাখার জন্য সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ‘এনামুল গণিত হোম’, একই এলাকার ‘ফারুক টিচিং’ ও উপশহর এলাকার ‘মিজান গণিত’ নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান সেই নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছিলেন। বাকিগুলোর মধ্যে ৩জন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের রেখে পালিয়ে গেছেন। আর কোচিং না করালেও অফিস খোলা রাখায় অন্যদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।