‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত চলবে’

বগুড়ায় আবারও মাদক বিরোধী অভিযানে নেমেছে পুলিশঃ ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার ১৮

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৫৭ বার।

বগুড়ায় আবারও মাদক বিরোধী অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অভিযান শুরুর পর গেল ২৪ ঘন্টায় ১৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৩৮০ পিস ইয়াবা, ৪৫ বোতল ফেন্সিডিল ও ২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।
বগুড়ায় পুলিশের গণমাধ্যম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করা হয়েছে। অভিযানে সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেফতার ৯জনের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি ২৭৫ পিস ইয়াবাসহ ১৩ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ৯জনের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা দেওয়া হয়েছে।
বগুড়ায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের ইঙ্গিত আগেই দেওয়া হয়েছিল। জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো তখন পু-্রকথাকে বলেছিল ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার সারাদেশে আরও কঠোরভাবে দৃশ্যমান করতে চায়। পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ এমনকি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতসহ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ কাউকেই রেহায় দেওয়া হবে না। সূত্র জানায়, সম্প্রতি পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রধানের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বগুড়ায় মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৯ মে সারাদেশের মত বগুড়াতেও মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছিল। ওই অভিযানের প্রাক্কালে জেলায় ছোট-বড় মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি তালিকাও করা হয়েছিল। পুলিশের করা তালিকায় ৫০২জনকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। আর র‌্যাবের তালিকায় নাম ছিল ২৫০জনের। তাদের মধ্যে অর্ধশত ব্যক্তিকে শীর্ষ ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
প্রায় দুই মাস ধরে চলা ওই অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুক যুদ্ধ’ এবং ‘নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে’ লিটন ওরফে রিগ্যান, ডিপজল ও পুতু নামে তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। অভিযানে অন্তত ৩০০জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। উদ্ধার করা হয়েছিল প্রায় ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪০০ বোতল ফেন্সিডিল, ২৫ কেজি গাঁজা ও ৩৮ গ্রাম হেরোইন। পুলিশের সাঁড়াশি সেই অভিযানের মুখে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেকে পেশা বদল করে ডাকাতি এবং ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে তাতেও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ ঠিকই তাদের পাকড়াও করেছে। ওদের মধ্যে অন্তত ৩জন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহতও হয়েছিল।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ অভিযান মাদক পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত না হওয়া পর্যন্ত চলবে।