নানা আয়োজনে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে সরস্বতী পূজা সম্পন্ন

অরূপ রতন শীল
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৫৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৫৮ বার।

বিদ্যা দেবীর আরাধনায় রোববার উৎসবমুখর পরিবেশে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে  উদযাপিত হয়েছে সরস্বতী পূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় এ উৎসবে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে  পুস্পার্ঘ অর্পণ করেছেন। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর পাদপদ্মে প্রণতি জানিয়েছেন তারা। সকাল ৯টায় পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাসহ বাইরের নানা পেশার ভক্ত এতে অংশগ্রহণ করেন। 


সরস্বতী পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যাদেবী বা সরস্বতী দেবীকেই পূজা করে থাকে। দেবীর এক হাতে বীণা থাকার কারণে, এটিকে সংগীত দেবী বা বীণাপাণিও বলে থাকে। শাস্ত্রমতে সরস্বতী শব্দটির অর্থ, ‘সতত রসে সমৃদ্ধা’। তিনি শুক্লবর্ণা, শুভ্র হংস বাহনা। ‘বীণা-রঞ্জিত পুস্তক হস্তে।’ অর্থাৎ এক হাতে বীণা ও অন্য হাতে পুস্তক।


সেগুলোর রহস্য তথা যথার্থ তাৎপর্য হৃদয়ে ধারণ করেই, সরস্বতী দেবীকে পূজা করা হয়। নয়তো পূজার্চনা যতই হোক না কেন, তা অর্থহীন হয়েই থেকে যায়। শিক্ষার্থীরা দেবী সরস্বতীর পূজা বেশি করে থেকে এবং প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই সরস্বতী দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই সরস্বতী পূজার দিনেই অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবারের শিশুদের হাতেখড়ি দেওয়া হয়। এই নিয়মটি প্রাচীন আমলেও ছিল, এখনো আছে।


পূজা শেষে সকাল ১১ টায় কলেজ চত্বরে বাণী অর্চনার ব্যানারে একটি র‌্যালী বের করা হয়। এতে অংশ নেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহজাহান আলী, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল হক, দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কালাচাঁদ শীল, ইংরেজি বিভাগের সুব্রত কুমার সাহা, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অলোক কুমার সাহা, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিদ্যুৎ কুমার সাহা, রসায়ন বিভাগের সঞ্জয় কুমার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাধন কুমার, অর্থনীতি বিভাগের মানসী রাণী সাহা, পরিসংখ্যান বিভাগের তিথি দাস, পুণ্ড্র ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি অরুপ রতন শীল,কলেজ শাখা ছাত্রলীগনেতা বিধান মোহন্ত সহ শিক্ষার্থীবৃন্দ। সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ধুনচি নাচ,শঙ্খ ধ্বনি ও গীতা পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সব শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজার সকল কার্যক্রম শেষ হয়।