বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ছাড়াল ২৫ লাখ ৬০ হাজার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২১ ০৬:৩৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৯ বার।

একাধিক টিকা আবিষ্কারের পরও বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত এ মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ কোটি ৫২ লাখ ৯৯ হাজার ৯২৪ জন।

মারা গেছেন ২৫ লাখ ৬০ হাজার ৬০২ জন। বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ কোটি ১১ লাখ ১৭ হাজার ৪৩৬ জন।

করোনার আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ২১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে।

এ পর্যন্ত সেখানে দুই কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার ৭০৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে এক হাজার ৯৮৯ জন।

করোনা শনাক্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২৩ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৩৮৫ জনের। মৃত্যু বিবেচনায় দেশটি বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

করোনাভাইরাসে শনাক্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৫ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫৬২ জনের। মৃত্যুর দিক থেকে দেশটি বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৯৫ লাখ ২৭ হাজার ১৭৩ জন।

করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ লাখ ৬৮ হাজার ২১৫ জন। মারা গেছেন ৮৬ হাজার ৮৯৬ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ৪০ জন।

আক্রান্ত বিবেচনায় পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪১ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ জন। মারা গেছেন এক লাখ ২৩ হাজার ২৯৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩০ লাখ পাঁচ হাজার ৭২০ জন সুস্থ হয়েছেন। তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।