দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার

আড়াই কোটি টাকা আত্মসাত মামলায় বগুড়ায় রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপকসহ ৭জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৭৪ বার।

জাল কাগজ তৈরির মাধ্যমে গ্রাহকের নামে ভুয়া ঋণ উত্তোলন দেখিয়ে ২ কোটি ৬০ লাখ আত্মসাতের মামলায় বগুড়ায় রূপালী ব্যাংকের সাবেক এক ব্যবস্থাপক এবং তিন কর্মকর্তাসহ ৭জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচাল রবীন্দ্রনাথ চাকী সোমবার আদালতে ওই চার্জশীট  দাখিল করেন। 
একই দিন ওই মামলার চার্জশীটভুক্ত পলাতক দুই আসামী রূপালী ব্যাংকের মহাস্থান শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার (বর্তমানে জয়পুরহাট শাখায় কর্মরত) মহাতাব উদ্দীন এবং ওই ব্যাংকের একই শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার (বর্তমানে টিএমএস শাখায় কর্মরত) কায়দে আজমকেও গ্রেফতার করেছে দুদক।
 চার্জশীটে অপর যে ৫জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন- রূপালী ব্যাংকের বগুড়ার মহাস্থানগড় শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত) জোবায়নুর রহমান, ওই শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার (বর্তমানে মোকামতলা শাখায় কর্মরত) ইশরাত জাহান, মহাস্থান হাটের ইজারাদার আজমল হোসেন, জাহিদুর রহমান ও মোশাররফ হোসেন।
দুদক কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ চাকী জানান, মহাস্থান হাটের তিন ইজারাদার আজমল হোসেন, জাহিদুর রহমান ও মোশারফ হোসেন রূপালী ব্যাংক মহাস্থান গড় শাখার গ্রাহক। তারা মহাস্থান হাট ইজারার জন্য  ২০১৭ সালের ৬ এবং ৯ এপ্রিল শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নামে ২ কোটি ৬৯ লাখ ১ হাজার ৮০১ টাকা মূল্যের ৭টি পে-অর্ডারের জন্য আবেদন করেন। অথচ তারা মাত্র একটি পে-অর্ডারের জন্য মাত্র ৯ লাখ ৭ হাজার ২৫ টাকা জমা দেন। কিন্তু তার পরেও তাদের নামে ২ কোটি ৬৯ লাখ ১ হাজার ৮০১ টাকা মূল্যের ৭টি পে-অর্ডার ইস্যু করা হয়। এরপর একই বছরের ১১ এপ্রিল শিবগঞ্জ উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ওই পে-অর্ডারের টাকাগুলো সরকারি নির্দিষ্ট হিসাবে জমা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠানো হয়। তখন সেই ব্যাংক থেকে ক্লিয়ারেন্সের জন্য রূপালী ব্যাংক মহাস্থান শাখায় পাঠানো হয়। কিন্তু ওই পরিমাণ টাকা তখন ব্যাংকে না থাকায় ওই শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক জোবায়নুর রহমান জাল এফডিআরের কাগজ তৈরি ব্যাংকের কয়েকজন গ্রাহকের নামে ভুয়া ঋণ উত্তোলন দেখিয়ে পে-অর্ডারের ওই অর্থ সমন্বয় করেন। এ কাজে তাকে ব্যাংকের এক মহিলা কর্মকর্তাসহ ৩ কর্মকর্তা সহযোগিতা করেন। 
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রূপালী ব্যাংকের তৎকালীন উপ-মহাব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জোবায়নুরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ততদিনে অভিযুক্ত কর্মকর্তা জোবায়নুর রহমান পালিয়ে যান। পরে র‌্যাব সদস্যরা তাকে শরীয়তপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করেন।