খালেদা জিয়ার চার্জ গঠনের পরবর্তী শুনানি ২০ ফেব্রুয়ারি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:০৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৭ বার।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান মঙ্গলবার এ দিন ধার্য করেন।

এদিকে শুনানিতে অংশ নিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে তার মেডিকেল চেকআপের ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেন।তারা খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার আবেদন করেন।

এর আগে নাইকো দুর্নীতি মামলা অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দুপুর সাড়ে ১২টায় অসুস্থ খালেদা জিয়াকে হুইলচেয়ারে করে আদালতে হাজির করা হয়। এর পরপরই ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান শুনানি শুরু করেন।

এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এসে আদালতের স্থান নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।তিনি আদালতকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, সাজা দিতে চাইলে দিয়ে দেন, আমি আর এ আদালতে আসব না।

নাইকো দুর্নীতি মামলার আসামিরা হলেন— বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন।

এই মামলায় তিন জন আসামি পলাতক। তারা হলেন— সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

নাইকো দুর্নীতি মামলা সূত্রে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

মামলা করার পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। খবর যুগান্তর অনলাইন