নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলছে বগুড়ার কোচিং সেন্টারগুলোর কার্যক্রম

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১০:৫১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫২৭ বার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ না মেনেই বগুড়ায় নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে চলছে কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম। জানা গেছে, কিছু প্রতিষ্ঠান কেজি স্কুলের ব্যানারে এমনকি নিজ নিজ বাসায় চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের কোচিং বাণিজ্য। এছাড়া শহরের স্কুলশিক্ষকদের ব্যাচভিত্তিক কোচিংও থেমে নেই।


এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ২৭ জানুয়ারি থেকে এক মাস সব কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার। এনিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি  জেলা প্রশাসন ও এপিবিএন পুলিশের  অভিযানে তিনটি কোচিং সেন্টারকে জরিমানা করে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের কোচিং না করালেও অফিস খোলা রাখায় বাকি ৯টি প্রতিষ্ঠানকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু ঐ অভিযানের পর থেকে  তারা তাদের কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম শুরু করে। 


মঙ্গলবার উপশহরে ঘুরে দেখা যায় কোচিংয়ের সামনে দেখা যায় অভিভাবকদের জটলা। ওই এলাকায়  ক্রিয়েটিভ হোম, ক্রিয়েশন, এবিসি,ব্রাইট ফিউচার, সানরাইজ কোচিং সেন্টারে পুরোদমে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও বছরের শুরু থেকেই উপশহরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল ও কলেজ ও বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা ব্যাচভিত্তিক পড়ানোর বানিজ্য। 


অভিভাবক নিলিমা খাতুন পুণ্ড্রকথাকে  বলেন ‘টাকা দিয়ে পড়াচ্ছি, ছেলের ভালোর জন্য। স্কুলে পড়া হলে কোচিংয়ে তো আনতে হতো না।’


কোচিং খোলা রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ কোচিং এ্যাসোসিয়েশন বগুড়ার সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান পুণ্ড্রকথাকে  জানান, আমরা জলেশ্বরীতলায় সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রেখেছি। তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদেরকে না জানিয়ে কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।সংগঠনের সদস্য না হওয়ায়  উপশহরের কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম নিয়ে তিনি কোন কথা বলেন নি। 

কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম নিয়ে বগুড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুস সামাদ পুণ্ড্রকথাকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা সকল কোচিং সেন্টারের জন্য প্রযোজ্য।  অভিযান চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। কেও যদি আড়ালে কোচিং চালু রাখলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’