বাংলা একাডেমিতে কবি আল মাহমুদকে ফুলেল শ্রদ্ধা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৯২ বার।

বাংলা একাডেমিতে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের মরদেহ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

 

শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কবির মরদেহ নেয়া হয় বাংলা একাডেমিতে। সেখানে নজরুল মঞ্চে তার মরদেহ রাখা হয়। একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী কবির মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় উপস্থিত আছেন বাংলা একাডেমির গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ।

পরে কবিকে নেয়া হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে কবির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১১টার পর বার্ধক্যজনিত কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কবি আল মাহমুদ। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

৯ ফেব্রুয়ারি রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন কবি আল মাহমুদ। তাকে ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তিনি অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।

অবস্থা আরও গুরুতর হলে শুক্রবার তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেয়া হয়। পরে রাত ১১টা ৫ মিনিটে তিনি মারা যান।

কবি আল মাহমুদের পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তার পিতার নাম মীর আবদুর রব ও মাতার নাম রওশন আরা মীর। তার দাদা আবদুল ওহাব মোল্লা হবিগঞ্জ জেলায় জমিদার ছিলেন।

আল মাহমুদ শুধু আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি নন, তিনি একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক।

সাহিত্যে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি (অগ্রণী ব্যাংক) পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই কবি। লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬) ইত্যাদি আল মাহমুদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।