করতোয়া নদীকে বাঁচাতে এবার এগিয়ে এলো সনাক

মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১১:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২০৬ বার।

করতোয়া নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের দাবিতে বগুড়ায় অবস্থান কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। তাতে রায় বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও নদীর অবৈধ দখলদারদের পরিচয় জনস্মুখে প্রকাশ করার দাবী জানানো হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে বটতলায় ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়। ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টি আই বি) ও সচেতন নাগরিক কমেটি (সনাক) এর আয়োজনে উক্ত অবস্থান কর্মসুচিতে একত্বতা প্রকাশ করে সনাক সদস্য, ইয়ুথ ইঙ্গেজমেন্ট এন্ড সাপোর্টস (ইয়েস), যুব রেড ক্রিসেন্ট, বিএনসিসি, স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন (বাঁধন), টিম ফর এনার্জি(তীর) ও সাধারণ মানুষ সহ অন্তত দেড় শতাধিক। 

মুক্তিযোদ্ধা ও সনাক সভাপতি মাসুদুর রহমান হেলালের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, সনাক সদস্য ও লেখক বজলুল করিম বাহার, সনাকের সহ-সভাপতি প্রফেসর সায়মা কানিজ, বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি মস্তাফিজুর রহমান ফিজু, দৈনিক ইত্তেফাকের বগুড়া প্রতিনিধি মিলন রহমান, জি এম পারভেজ ডেরিন ও যুব প্রতিনিধিরা।

বজলুল করিম বাহার তার বক্তব্যে বলেন- নদীকে কেন্দ্র করেই আগে নগর-বন্দর গড়ে উঠেছিল আর করতোয়া পাশে থাকায় জেলা প্রশাসন কার্যালয় এখানে স্থাপন করা হয়েছিল। কথিত আছে হিন্দু পুরানের দেবী পার্বতীর (শিবের ২য় স্ত্রী) হাত ধোয়ার কারনে এ নদীর নাম করতোয়া (অর্থ- হাত ধোয়া) হয়েছে।  তিনি আরও বলেন আগে দেশে ২৪ হাজার কিলোমিটার নদী থাকলেও বর্তমানে তা ৬ হাজার কিলোমিটারে নেমে এসেছে। আগে নদীতে মিষ্টি পানি পাওয়া গেলেও এখন পাওয়া যায় না। আর আমরা যে মিনারেল ওয়াটার নিয়ে গর্ববোধ করি তা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। মাসুদুর রহমান হেলাল বলেন- নদী খননের জন্য ১২০০ কোটি টাকার বরাদ্দ আছে, তা কার্যকর করতে জেলা প্রশাসকের বড় ভুমিকা পালন করতে হবে।       

অবস্থান কর্মসুচি শেষে জেলা প্রেশাসক বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করা হয়।