কাটাছেঁড়া ছাড়াই পাইলস অপারেশন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:১৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৫৯ বার।

পাইলসের কিছু সুনির্দিষ্ট উপসর্গ রয়েছ। যেমন- পায়ুপথ দিয়ে রক্তক্ষরণ ও ফুলে যাওয়া, মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভব করা, পায়ুপথ দিয়ে পাইলস বেরিয়ে আসা ও মলদ্বারের চার পাশে চুলকানি। তবে এই উপসর্গগুলো কোলন ও রেক্টাল ক্যানসারেরও উপসর্গ হতে পারে।

তাই রোগীদের এ রোগ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন। পায়ুপথ দিয়ে শুধু রক্তক্ষরণ প্রথম ডিগ্রি পাইলসের বৈশিষ্ট্য। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডিগ্রির পাইলসে মল ত্যাগ করার সময় পাইলস পায়ুপথ দিয়ে বেরিয়ে আসে কিন্তু মল ত্যাগ সম্পন্নের দ্বিতীয় ডিগ্রি ক্ষেত্রে পাইলস নিজ থেকেই মলদ্বারের ভেতর চলে যায়।

তৃতীয় ডিগ্রির ক্ষেত্রে রোগীকে আঙুলের চাপ দিয়ে পুনরায় মলদ্বারের ভেতর প্রতিস্থাপন করতে হয়। চতুর্থ ডিগ্রির ক্ষেত্রে পাইলস সব সময় পায়ুপথের বাইরে অবস্থান করে।

চিকিৎসা : প্রথম ডিগ্রি ও প্রথমাবস্থায় দ্বিতীয় ডিগ্রির ক্ষেত্রে ইনজেকশন ও ব্যান্ড লাইগেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। সেই সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পদ্ধতির পরিবর্তন ও মল নরম রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।

অগ্রবর্তী দ্বিতীয় মাত্রা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ মাত্রার পাইলসে শল্যচিকিৎসা ও অপারেশনই একমাত্র চিকিৎসা। আগে পায়ুপথের তিন অবস্থানে ত্বকসহ অভ্যন্তরীণ অংশ কেটে ফেলে এর চিকিৎসা করা হতো। বর্তমানে মলদ্বারে ক্ষত না করে, ত্বক বা মাংস না কেটে পাইলসের অত্যাধুনিক অপারেশন করা হচ্ছে।

এর নাম স্ট্যাপলেড হেমোর হাইডেক্টমি বা স্ট্যাপলেড হেমোহাইডোপেক্সি। এতে অস্বাভাবিকভাবে বর্ধিত পাইলস টিস্যু অপসারণ করা হয়। পরে অবশিষ্ট পাইলস টিস্যুকে তার স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হয়।

এ ক্ষেত্রে ঝুলে পড়া পাইলসকে আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয় এবং পাইলসের রক্তসঞ্চালন বাধাগ্রস্ত করে ফুলে যাওয়া রক্তনালী শুকিয়ে দেয়া হয়। অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে মলদ্বারের বাইরে কোনো কাটাছেঁড়া করা হয় না। এর ফলে রোগী প্রায় ব্যথাশূন্য থাকে ও দ্রুত তার কাজে ফিরতে পারে।