একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আ’লীগ প্রার্থী জয়ের পথে

বগুড়ার ১১টি উপজেলার সবকটিতেই বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন : ৫টিতে আ’লীগের বিদ্রোহী 

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:১১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৩৩ বার।

বগুড়ার ১২টি উপজেলার মধ্যে ১টি আদমদীঘিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম খান রাজু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। অন্য ১১টির মধ্যে ৫টিতে ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহীরা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া ওই ১১টি উপজেলতেই বিএনপি নেতারাও প্রার্থী হয়েছেন। 
১১টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ৫৪জন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সারিয়াকান্দিতে ৯জন এবং সবচেয়ে কম সোনাতলা উপজেলায়মাত্র ২জন প্রার্থী হয়েছেন। সারিয়াকান্দিতে প্রার্থী যেমন বেশি তেমনি সেখানে আ’লীগের বিদ্রোহী এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর সংখ্যাও বেশি। 
আদমদীঘি উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রায়হানা ইসলাম জানিয়েছেন, আদমদীঘিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত সিরাজুল ইসলাম খান রাজু ছাড়া আর কেউ মনোনয়পত্র দাখিল করেন নি। তিনি বলেন, যাচাই বাছাইয়ে যদি তার মনোনয়নপত্র বৈধ হয় তাহলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
জেলার ১১টি উপজেলার চেয়ারম্যান পদে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের নাম নিচে দেওয়া হলো-
সারিয়াকান্দি উপজেলায় যারা চেয়ারম্যান পদে ৯জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন: মুনজিল আলী সরকার (আ’লীগ), আব্দুস সালাম (বিদ্রোহী আ’লীগ), শাজাহান আলী (বিদ্রোহী আ’লীগ), মাসুদুর রহমান হিরু মণ্ডল (বিএনপি), অ্যাড. নূরে আযম বাবু (বিএনপি), টিপু সুলতান (স্বতন্ত্র), প্রভাষক নজরুল ইসলাম (জামায়াত), এনামুল হক (স্বতন্ত্র) ও মিনহাজ উদ্দিন (স্বতন্ত্র)
সোনাতলা উপজেলায় মাত্র ২জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন: মিনহাদুজ্জামান লিটন (আ’লীগ) ও জিয়াউল হক লিপ্পন (বিএনপি)।
শিবগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন: আজিজুল হক (আ’লীগ), বিউটি বেগম (বিএনপি) ও ফিরোজ আহম্মেদ রিজু (স্বতন্ত্র)।
দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন: মিজানুর রহমান খান সেলিম (আ’লীগ), ফজলুল হক (বিদ্রোহী আ’লীগ), আব্দুস সামাদ (বিদ্রোহী আ’লীগ), নুরুল ইসলাম খান হিরো (বিএনপি), কল্যাণ প্রসাদ পোদ্দার (স্বতন্ত্র) ও আব্দুল হাই ম-ল (স্বতন্ত্র)। 
নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৭জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন: রেজাউল আশরাফ জিন্না (আ’লীগ), আজিজার রহমান (বিদ্রোহী আ’লীগ), অ্যাড. এ রাফি পান্না (বিএনপি), আহসান বিপ্লব রহিম (বিএনপি), আলেকজাণ্ডার (বিএনপি), মাহফুজুর রহমান (বিএনপি) ও কামরুজ্জামান কামরুল (জাসদ)।
কাহালু উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে যে ৪জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন: আব্দুল মান্নান (আ’লীগ), আল হাসিবুল হাসান সুরুজ (বিদ্রোহী আ’লীগ), ফরিদুর রহমান ফরিদ (বিএনপি) ও হুমায়ুন কবির খোকা (বিএনপি)। 
শেরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছন। এরা হলেন: মজিবর রহমান মজনু (আ’লীগ), জানে আলম খোকা (বিএনপি) ও আব্দুন নূর (এনপিপি)
ধুনট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ৬জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন:  আব্দুল হাই খোকন (আ’লীগ), মাসুদুল হক বাচ্চু (বিদ্রোহী আ’লীগ), আলিমুদ্দিন হারুন (বিএনপি), আকতার আলম সেলিম (বিএনপি) পাভেল আহম্মেদ (জাপা) ও জিয়াউল আলম শাহীন (স্বতন্ত্র)
বগুড়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে যে ৩জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন: আবু সুফিয়ান শফিক (আ’লীগ), মাফতুন আহমেদ খান রুবেল (বিএনপি) ও সাব্বিরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)
গাবতলী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন: রফি নেওয়াজ খান রবিন (আ’লীগ), একিউএম ডিসেন্স সুমন (বিএনপি) শফিকুল ইসলাম ভোদন (বিএনপি) ও এহসানুল বাশার (বিএনপি)।
শাজাহানপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭জন মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন: সোহরাব হোসেন ছান্নু (আ’লীগ), আবুল বাশার (বিএনপি), ইউনুস আলী (বিএনপি), এনামুল হক শাহীন (বিএনপি), সাইদুল হাসান  ইসলামী (ঐক্যজোট), পলাশী খাতুন (স্বতন্ত্র) ও আছির উদ্দিন (স্বতন্ত্র)