একাদশ সংসদ নির্বাচন ‘রেকর্ডে রাখার মতো’: সিইসি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৪৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪০ বার।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে রেকর্ডে রাখার মত নির্বাচন দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, এমন ‘সুন্দর’ নির্বাচন বাংলাদেশে আগে হয়নি।

সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ঢাকা উত্তর সিটির উপনির্বাচন ও দুই সিটির নতুন ওয়ার্ডগুলোর নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় এ কথা বলেন তিনি। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের নানা প্রশ্নের মধ্যেই সিইসি এমন মন্তব্য করলেন।

একাদশ নির্বাচনের সংঘাতগুলো নির্বাচনকেন্দ্রিক হয়নি দাবি করে নুরুল হুদা বলেন, ‘ওগুলো বেশির ভাগই ঘটেছে  ভোটকেন্দ্রের বাইরে। তবুও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চিত্র রেকর্ডে রাখার মতো সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে হয়েছে। এটা আমি দাবি করতে পারি প্রকাশ্যে।’

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করে সিইসি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে যেমন সহিংসতা ঘটেছিল, তা একাদশ নির্বাচনে ঘটেনি। যদিও কয়েকটি ঘটনায় ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এই সব প্রাণহানির ঘটনায় ইসি মর্মাহত হয়েছে।’

একাদশ নির্বাচনকে ‘বিরল সুষ্ঠু নির্বাচন’ দাবি করে এমন নির্বাচন আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের পরিস্থিতি থেকে ২০১৮ সালে এই রকম বিরল সুষ্ঠু নির্বাচন উত্তরণে আপনারাই ভূমিকা রেখেছেন। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। একেবারে ধ্বংসপ্রায় অবস্থা থেকে একটা সুষ্ঠু অবস্থায় আপনারা নিয়ে এসেছেন।’

এর ধারাবাহিকতা আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন নূরুল হুদা।

ঢাকার নির্বাচনকে গুরুত্ব দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘এই নির্বাচনের বিষয়ে কোনো রকম বিচ্যুতি হবে না- এমন ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নির্বাচন যাতে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হয় সেটার দিকে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’

পোলিং এজেন্ট নিয়ে অভিযোগের ব্যাপারে নূরুল হুদা বলেন, ‘পোলিং এজেন্ট নিয়ে ৯৮ ভাগ অভিযোগের সত্যতা থাকে না। ভোটের দিন অনেক এজেন্ট প্রার্থীর অবস্থা ভালো না দেখলে কেন্দ্র ছেড়ে যান। অনেক দুর্বল প্রার্থী আবার এজেন্টই দিতে পারেন না। এমন বাস্তবতায় ভোট শেষে অনেকে তাদের এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন, যা অনেকাংশেই সত্য নয়।’

তফসিল অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উত্তর-দক্ষিণের সম্প্রসারিত ৩৬ ওয়ার্ডে ভোট হবে। এ ছাড়া ১০ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা পরিষদের ভোট।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় ইসির চার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনার, বিজিবি, স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নেন।