নওগাঁর ধামইরহাটে চাতালের ৪ লাখ টাকা লুট করার উদ্দেশ্যে খুন করা হয় বৃদ্ধ আবেজ উদ্দিনকে

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:১৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৯ বার।

নওগাঁর ধামইরহাটে চাল কলের প্রায় ৪ লাখ টাকা লুট করার উদ্দেশ্যেই খুন করা হয় চাতালের কেয়ারটেকার বৃদ্ধ আবেজ উদ্দিনকে। মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিন জনের মধ্যে দুই জন প্রথম শ্রেনী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এরা হলেন ধামইরহাট পৌরসভার আমাইতাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে খোরশেদ আলম বাবু (৩৫),নওগাঁর সদর উপজেলার সরাইল মন্ডলপাড়া গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে আলামীন আলী (১৯) ও একই উপজেলার খাঁস-নওগাঁ মহল্লার আনোয়ার হোসেনের ছেলে কামরুল হাসান রিমন (২০)। এদের মধ্যে আলামিন ও কামরুল ম্যাজিষ্টেটের নিকট জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে তাদের ওইদিনেই জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 


ধামইরহাট থানার ওসি মোঃ জাকিরুল ইসলাম আসামীদের দেয়া জবানবন্দির বিষয়টি উদ্ধৃতি করে জানান নিহত আবেজ উদ্দিনের লুট হওয়া মোবাইল ফোন ট্যাগ করে পুলিশ প্রথমে নওগাঁ সদরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে কামরুল হাসান রিমনকে আটক করে। রিমনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী মো.খোরশেদ আলম বাবু (৩৫) ও আলামীন আলী (১৯) কে আটক করে পুলিশ। এবং তাদের নিকট থেকে লুন্ঠিত দলিলপত্র,বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। কামরুল হাসান রিমন ও আলামীন আলী স্থানীয় পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদার হিরার শ্রমিক হিসেবে আমাইতাড়া গ্রামে কাজ করে আসছিল।


ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.জাকিরুল ইসলাম বলেন,খুনের ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী খোরশেদ আলম বাবুর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রিমন ও আলামীন বৃদ্ধ আবেজ উদ্দিনকে হাসনাত চাউল কলের লিচু বাগানে নিয়ে খুন করে। খুন করার পর তারা লাশ নিয়ে ওই চাল কলের বারান্দার চৌকিতে শুইয়ে রেখে অফিস ঘরের তালা ও আলমারী ভেঙ্গে জমির মূল্যবান দলিল,বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই লুট করে নিয়ে যায়। জবাননন্দিতে কামরুল ও আলামিন বলেছে যে খোরশেদ আলমের পরিকল্পনায় ওই চাতালে আলমিরাতে নগদ ৪ লাখ টাকা আছে। টাকা হাতিয়ে নিতেই তারা দুইজন সরাসরি ওইবৃদ্ধকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে খোরশেদ আলম।


গত ১৬ ফেব্রুয়ারী রাতে উপজেলার আমাইতাড়া বাজারে নজিপুর সড়কের পার্শে হাসনাত চাউল কলের কেয়ার টেকার আবেজ উদ্দিন (৭০) কে শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাত করে খুন করে। পরে তারা চালকলের অফিসের তালা ভেঙ্গে দলিলপত্র ও চেকবই ও কিছু নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় চালকলের মালিক মোঃ খালেকুজ্জামান বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দাযের করে।