সাঈদীর ছেলে কারাগারে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯০ বার।

পিরোজপুরে পৃথক দুটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী,  পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমীর মো. তোফাজ্জল হোসেন ফরিদ ও সেক্রেটারি আব্দুর রবকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার দুপুরে তারা পিরোজপুর জজ আদালতে হাজির হলে জামিনের আবেদন করেন।  এ সময় আদালতের বিচারক ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শামসুল হক তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

মাসুদ সাঈদী ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর দায়েরকৃত ইন্দুরকানী থানার বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাকে ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি মঙ্গলবার পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ইন্দুরকানী থানার এসআই ওহিদুজ্জামান বাদি হয়ে বিস্ফোরক আইনে ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী, জামায়াত সমর্থক হাফেজ মো. জাকির হোসেন ও ওবায়দুল্লাহসহ আরও ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী উপজেলার সাঈদখালী গ্রামের একটি বাড়িতে বসে জামায়াত নেতাদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে ৫টি পেট্রোল বোমা ও কয়েকটি ককটেলসহ দুই জামায়াত কর্মীকে আটক করে। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান।

এদিকে পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমীর তোফাজ্জেল হোসাইন ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল রব মঙ্গলবার পিরোজপুর সদর থানায় দায়েরকৃত অন্য একটি বিস্ফোরক মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন। 

তারা গত বছরের ১১ ডিসেম্বর পিরোজপুর সদর থানায় দায়েরকৃত অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা একটি মামলার আসামি। মামলার পর তারা হাইকোর্টের নির্দেশে ছয় সপ্তাহ জামিনে থেকে মঙ্গলবার নিম্ন আদালতে হাজির হন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর পিরোজপুর বাইপাস সড়ক এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকিং কার্যক্রম চলাকালে দুপুর আড়াইটার দিকে বাগেরহাটের দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসকে (ঢাকা মেট্রো-চ-১৪-০০৮১) থামার সংকেত দিলে সেটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ মাইক্রোবাসটির পিছু নিলে সেটি বাইপাস এলাকার সাঈদী ফাউন্ডেশনের মাঠে ঢুকে পড়ে ও গাড়িতে থাকা লোকজন পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ৩ জনকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে গাড়ি তল্লাশি করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় জেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর তোফাজ্জল হোসেন ফরিদ ও সেক্রেটারি আ. রবকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়।