জাবির অভয়ারণ্য আগুনে পুড়ে ছাই, হুমকিতে জীববৈচিত্র

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২১ ১২:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫২ বার।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জীববৈচিত্রের জন্য সংরক্ষিত অভয়ারণ্য ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে দুটি ফায়ার ইউনিটসহ আশপাশে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও কাজ করেন। খবর সমকাল অনলাইন

বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কারখানা, ওয়াজেদ মিঞা বিজ্ঞানাগার, রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের ভবন ও টিএসসির মধ্যবর্তী এলাকাজুড়ে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্রায় ১৫ একর জায়গাজুড়ে এ আগুন লাগে। এতে হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র।

একাধিক কর্মচারী জানান, দুপুর ১২টার দিকে এ আগুন লাগে। পরে কর্মচারীরা এস্টেট অফিসকে জানান। তবে এস্টেট অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বাবুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমরা জানার সঙ্গে সঙ্গেই ১টা ৪৪ মিনিটে সাভারের ফায়ার ব্রিগেডকে জানাই। পরে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

দুপুর ২টায় সাভার ফায়ার ব্রিগেডের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। সাভার ফায়ার ব্রিগেডের স্টেশন অফিসার মাহফুজুর রহমান মাহফুজ বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করেছে। এছাড়া আশপাশে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কারও লাগানো আগুন থেকে এর সূত্রপাত হতে পারে বলে জানিয়েছেন মাহফুজুর রহমান।

আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন একাধিক শিক্ষার্থীও। তাদের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস বিভিন্ন সময় জঙ্গল পরিষ্কার করতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটায়। এর আগেও এমন আগুন লেগেছে। আগুন লেগে অনেক গাছপালা পুড়ে গেছে। এমন অবস্থায় হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রায় সময়ই এমন আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমরা দেখেছি, বিগত বছরগুলোতেও শীত শেষে এ ধরনের আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে করে ব্যাপক পরিমাণে ছোট কীটপতঙ্গ মারা পড়ে এবং বৃক্ষের ক্ষতি হয়। শীতের শেষ সময়ে ঝরা পাতার নিচে টিকটিকি, ব্যাঙ, গিরগিটিসহ ছোট ছোট অনেক প্রাণী আশ্রয় নেয়। এ ধরনের আগুনের ঘটনায় সব প্রাণী মারা যায়। এই প্রাণিগুলো ছোট হলেও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় তাদের অনেক অবদান রয়েছে। তবে পরিবেশ ধ্বংসের মতো এ কাজগুলো কারা করে আমরা আদৌ জানতে পারিনি।