নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৫টি দোকানের প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২১ ১৩:২৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৯ বার।

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের খড়িবাড়ীহাট বাজার এলাকার ইলেক্ট্রনিকস ও কসমেটিকসহ ৫টি দোকান আগুনে ভস্মিভূত হয়েছে। বুধবার ভোর রাতের দিকে এই ঘটনা ঘটে। এতে ওই বাজারের মা ইলেক্ট্রনিক্স সেন্টার, নিসুরা ইন্টারপ্রাইজ, রিতা টেলিকম এন্ড কসমেটিকস্্ ষ্টোর, সোহাগী পান স্টোর ও  মর্তুজা হোটেলের সমস্ত মালামার পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারনে দোকান মালিকদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।  এদিকে আগুন নিভাতে যাওয়ার পথে ফায়ার সাভিসের গাড়ি রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে বেশ কয়েক জন কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে বুধবার রাত ২টার দিকে  আগুন দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজন নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তাৎক্ষনিক নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে জারুল্লাপুর গ্রামের কাছে রাস্তার পাশে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি উল্টে যায়। এসময় ফায়ার সার্ভিসের অনুরোধে পাশের নাচোল ও তানোর ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। এর আগে মা ইলেক্ট্রনিক্স সেন্টার, নিসুরা ইন্টারপ্রাইজ, রিতা টেলিকম এন্ড কসমেটিকস্্ ষ্টোর, সোহাগী পান স্টোর ও  মর্তুজা হোটেলসহ ৫টি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

মা ইলেক্ট্রনিক্স সেন্টারের মালিক আশরাফুল ইসলাম আপেল বলেন আমি ব্যাংক থেকে ২০ লক্ষা টাকার ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। আমার দোকানে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আগুনে সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে । আমি এখন নিঃস্ব, ঋণ পরিশোধ করকো কিভাবে এবং সংসার চালাবো কিভাবে সেই চিন্তায় এখন আমার দিশেহারা অবস্থা, একই কথা বলেন নিসুরা ইন্টারপ্রাইজের মালিক মঞ্জুর রাসেল। তার দোকানের প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই গেয়ে গেছে। রিতা টেলিকম সেন্টার এন্ড কসমেটিকস এর প্রায় ২ লক্ষাধীক টাকা,সোহাগী পান ষ্টোরের ১ লক্ষাধিক ও মর্তুজার হোটেলের প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে তারা দাবি করেন। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত তা তারা জানাতে পারেনি।

নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের ইনচার্জ আরশেদ আলী বলেন খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছানোর চেষ্টা করি। তবে ওই এলাকার সড়কগুলো অনেক বেশী আঁকা-বাঁকা থাকায় জারুল্যাপুর গ্রামের মোড়ে আমাদের গাড়ী উল্টে রাস্তার নিচে পড়ে যায়। অল্পের জন্য আমাদের লোকজন বেঁচে যায়। আমাদের গাড়ী উল্টে যাওয়ায় আমরা তানোর এবং নাচোল ফায়ার স্টেশনে সংবাদ দিলে তারা এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে এ আগুন সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।