আত্রাইয়ে গ্রামবাসীর নিজস্ব উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২১ ১১:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৫ বার।

নওগাঁর আত্রাইয়ে গ্রামবাসীর নিজস্ব উদ্যোগে প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে থাকলেও সরকারি ভাবে তা সংস্কারের পদক্ষেপ না নেয়ায় অবশেষে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন। এতে ওই এলাকার হাজার হাজার জনসাধারণ যোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল ভোগ করতে পারবেন।

জানা যায়, উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের নানা দিক থেকে ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রাম শেখতারাটিয়া। এ গ্রামে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা, একটি বিএম কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। গ্রামের পাশ দিয়ে ভবানীপুর-শাহাগোলা পাকা রাস্তা বয়ে গেলেও এ রাস্তার সাথে গ্রামের রাস্তার সংযোগ না থাকায় গ্রামের লোকজনের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ১৯৯৬ সালের দিকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রায় ২ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য ইটের সোলিংয়ের একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়। এ রাস্তা মাঝে মধ্যে সংস্কার করা হলেও বিগত ৫ বছর থেকে কোন সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। সেই সাথে বিভিন্ন জায়গায় ইটের সোলিং উঠে গিয়ে রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। এদিকে কয়েক বছর থেকে রাস্তা সংস্কারের অভাবে ওই গ্রামের শত শত কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতেও দ্বিগুণ খরচ গুনতে হয়। সরকাররি ভাবে রাস্তাটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় অবশেষে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ রাস্কাটি সংস্কার করছেন। 

 

শেখতারাটিয়া গ্রামের সমাজ সেবক ডিএস জাহিদ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমাদের এ রাস্তা নিয়ে সমস্যায় জর্জরিত ছিলাম। গ্রামের ভেতর থেকে কৃষিপণ্য মেইন রোডে আনতে পারতাম না। অসুস্থ্য রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরিবেশ ছিল না। গ্রামবাসীদের এ দুর্ভোগ লাঘবে আমাদের গ্রাম প্রধান শেখ আব্দুস ছবুর উদ্যোগ গ্রহন করেন। তার উদ্যোগে সাড়া দিয়ে গ্রামবাসী নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ রাস্কাটি সংস্কার করছেন। এ রাস্তা সংস্কারের ফলে এলাকার আরও ৫ গ্রামের লোকজনের যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্ভোগ লাঘব হবে।

 

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়রম্যান শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের পরিকল্পনা আমাদের ছিল। ইতোমধ্যেই সিসি ঢালাইয়ের জন্য সেখানে পৌনে ২ লাখ টাকাও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারপরও গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে যে কাজ করেছে তাতে আমি তাদেরকে সাধুবাদ জানাই।