ভারতকে ঠাণ্ডা করতে ৫০টি পরমাণু বোমা হামলা প্রয়োজন: মোশাররফ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৮:২৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৫ বার।

পাক-ভারত চলমান উত্তেজনার মাঝে বোমা ফাটালেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ।

শনিবার আরব আমিরাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক এখন চরম পর্যায়ে। যে কোনো সময় যুদ্ধের সম্ভাবনা।

আর যুদ্ধ শুরু হলে একসঙ্গে ৫০টি বোমা হামলা ছাড়া ভারতকে ঠাণ্ডা করা যাবে না।

তার বক্তব্য- পাকিস্তান যদি একটি পরমাণু বোমা ফেলে, ভারত পাল্টা ২০টি পরমাণু বোমা ফেলবে।

পাকিস্তান যদি প্রথমেই ৫০টি পরমাণু বোমা দিয়ে হামলা চালায়, তা হলে আর ভারত ২০টি পরমাণু বোমা ফেলার সুযোগ পাবে না।

এদিকে কাশ্মীরে আত্মঘাতী হামলার পর সেখানে তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে ভারত সরকার। রীতিমতো সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে দেশটির সেনাবাহিনী। বাড়ি বাড়ি চলছে তল্লাশি।

হাটে, পথে-ঘাটে গণধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে দেড় শতাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকর্মী আটক করেছেন সেনা সদস্যরা।

এর আগে সেখানে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্সের ১০ হাজারের বেশি সদস্য পাঠানো হয়। রাস্তায় রাস্তায় সেনাদের তল্লাশি ও রণপ্রস্তুতিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কাশ্মীরিদের মধ্যে।

যদিও রোববার রাজ্য গভর্নর সত্যপাল মালিক জানিয়েছেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গুঞ্জনের কারণেই আতঙ্ক আরও বাড়ছে।’

পুলওয়ামাকাণ্ডের পর থেকেই আতঙ্কে আছেন কাশ্মীরিরা। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনাই ঘুরছে উপত্যকার বাসিন্দাদের মাথায়।

জানা গেছে, জওয়ানদের ডিউটিও ভাগ করে দেয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল বর্ডারের দায়িত্বে থাকছেন বিএসএফ জওয়ানরা।

জম্মু-কাশ্মীরের ভেতরে সিআরপিএফ জওয়ান ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ পরিস্থিতি অনেকের মনেই যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি করেছে। তবে পুলিশ ও সেনা সদস্যরাই উপত্যকায় আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছেন।

পথে পথে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা। রোববার শ্রীনগরের রাস্তায় রাস্তায় স্কুটি, মোটরগাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে।