পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:০৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১২ বার।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্ঘাটন করে এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনাসদস্যদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, বিডিআর বিদ্রোহের সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্ঘাটন করে এর সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের বাধার কারণে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। সেনাবাহিনীর মনোবলকে দুর্বল করতেই এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। দিনটি জাতির ইতিহাসের জন্য একটি কলঙ্কময় দিন।

দিনটি স্মরণ করে দেশের জনগণকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শপথ নেয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীরবিক্রম, রুহুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, মেজর (অব.) হানিফ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) (তৎকালীন বিডিআর) সদর দফতরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দশম বার্ষিকী আজ।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় পৃথক মামলা হয়। এর মধ্যে বিদ্রোহ ও হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিডিআর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

এ মামলায় ৮৩৪ আসামির মধ্যে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

এ ছাড়া বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযুক্ত ছয় হাজার ৪১ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯২৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।