বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ল্যাপটপ চুরি করে বাইরে বিক্রিঃ অপারেটরসহ দু’জন গ্রেফতার

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:৩৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৬৫ বার।

বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের গোডাউনে রাখা ল্যাপটপ কম্পিউটার চুরি করে বিক্রির অভিযোগে ওই অফিসের এক কর্মচারীসহ দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এরা হলো: বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেন ও শহরের সপ্তপদী মার্কেটের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন নাহিদ। অভিযুক্তদের মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হলেও বুধবার রাত পৌণে ৮টা পর্যন্ত মামলা দেওয়া হয়নি। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে।


বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি বুধবারই যোগদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি স্কুল পর্যায়ে বিতরণের জন্য সরকারিভাবে বেশ কিছু ল্যাপটপ কম্পিউটার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ৪টি ল্যাপটপ অপারেটর দেলোয়ার হোসনের তত্ত্বাবধানে অফিসের গোডাউনে রাখা ছিল।’


বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেন ওই চারটি ল্যাপটপের মধ্যে দু’টি শহরের সপ্তপদী মার্কেটের দোকানী ইসমাইল হোসেন নাহিদের কাছে বিক্রি করেন। সরকারি ল্যাপটপ বিক্রির খবর সোর্সের মাধ্যমে পেয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে প্রথমে দোকানি ইসমাইল হোসেন নাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের কয়েক ঘন্টা পর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেন পুলিশ ফাঁড়িতে আসে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে দোকানি নাহিদ জানায় সে তার পাশের ‘টিবিসি’ নামে একটি দোকান থেকে দু’টি ল্যাপটপ কিনেছে।

অপরদিকে কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেন দাবি করেছে সে ল্যাপটগুলো মেরামতের জন্য অফিসের বাইরে এনেছে। তবে এ সংক্রান্ত কোন আদেশ সে দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘সরকারি ল্যাপটগুলো চুরি করে বাইরে বিক্রি করা হয়েছে-এতে কোন সন্দেহ নেই। এজন্য বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা হবে। প্রস্তুতি চলছে।’


বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন জানান, সরকার কম্পিউটারগুলো কিভাবে বাইরে গেল পুলিশ সেটা তদন্ত করে দেখছে। তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু নতুন এসেছি তাই বিস্তারিত কোন তথ্য আমার জানা নেই। আমি পুলিশকে বলেছি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’