উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

বগুড়ায় জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

আকতারুজ্জমান সোহাগ
প্রকাশ: ১২ মে ২০২১ ০৭:০০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৫ বার।

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে বগুড়ার ঈদ বাজার। গার্মেন্টস, জুতা, শাড়ি, ছিটকাপড় এবং কসমেটিকসের দোকানে তিলধারণের ঠাঁই মিলছে না। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব মার্কেটে বেচাকেনা করতে ভিড়ে জমজমাট অবস্থা। তবে সবখানে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধির নিয়মাবলি। অধিকাংশ ক্রেতার মুখে মাস্ক নেই এবং মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, ক্রেতাদের চাপের কারণেই স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বগুড়ার নিউ মার্কেট, রানার প্লাজা, হকার্স মার্কেট, শহরের কাঁঠালতলা মার্কেট, আলতাফ আলী সুপার মার্কেট, জলেশ্বরীতলার বিভিন্ন বিপনী বেড়েছে বিক্রেতাদের ব্যস্ততা সেই সাথে ব্যাপক বেচাকেনাও চলছে। অন্য সময়ের তুলনায় কাপড়সহ অন্যান্য জিনিসের দাম বেশি। পূর্বে করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে বেচাকেনা কম থাকলেও গত দুইদিনে ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। সব ধরণের কাপড় চোপড়ই এবার ভালো চলছে। তবে প্যান্ট, শার্ট, থি-পিস, শাড়ি, লুঙ্গি, পিচ কাপড় ও পায়জামা এবং পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে বেশি। নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড়ের চাহিদা বেশি। থ্রি-পিস ও শাড়ির বড় বড় দোকানগুলোতে ভারতীয় শাড়ির চাহিদা বেশি। তবে সিট কাপড় ও জুতা-স্যান্ডেলের দোকানেও ভিড়।

ক্রেতারা অভিযোগ করে জানান, ঈদকে সামনে রেখে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ আবার মালামাল আসছে না বলে দাম বাড়িয়েছে। যদি প্রশাসন মনিটরিং করতো তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকতো। 

বিক্রেতারা জানান, রমজানের শুরু থেকে ভীড় কম হলেও ২০ রোজার পর থেকে ক্রেতাদের সংখ্যা বেড়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনের কারণে অনেকেই গ্রামে চলে আসায় শহরের মার্কেটগুলোতে ঈদ বাজার জমে উঠেছে। এছাড়া করোনার আতঙ্ক থাকলেও ঈদ উপলক্ষে ভালো বেচাকেনা চলছে। গত সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে কেনাবেচার ধুম পড়েছে। 

তবে, বাজারের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক পুণ্ড্রকথাকে বলেন, 'সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।'