বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেকর্ডসংখ্যক যান চলাচল, করোনায় উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গের সচেতন মহল

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২১ ১২:৩৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭০ বার।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গগামী যানবাহনের চলাচল কিছুটা কম হওয়ায় মহাসড়কজুড়ে যানজট কমেছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যাত্রী ও মালামালবাহী যানবাহন চলাচলে রেকর্ড ছুঁয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের পর গত ২৩ বছরের মধ্যে এবছরই সেতু দিয়ে সর্বোচ্চসংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেতু কর্তৃপক্ষ। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছর ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩৫৬টি অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করেছে। এদিক করোনাকালীন দুর্যোগের মধ্যেও বিধি-নিষেধ অমান্য করে এত বিপুলসংখ্যক যাত্রী পারাপার হওয়ার করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গের সচেতন মানুষ। 

গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে মোট ৫২ হাজার ৬৬৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মোটরসাইকেল ১৩ হাজার ৫৬টি, প্রাইভেট কার ২৩ হাজার ৪৮৪টি, পণ্যবাহী ট্রাক ৫ হাজার ৩৫৫টি, ছোট ট্রাক ৩ হাজার ৬৭৪টি, মাঝারি ট্রাক ৩ হাজার ২৭২টি, বড় বাস ৩ হাজার ৭৬৬টি এবং ছোট বাস ৭০টি। এ থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের মোট রাজস্ব এসেছে ২ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৪০ টাকা। যা সেতু নির্মাণ হবার পর সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়। 

সূত্রমতে, গত বছরের ঈদুল আজহার আগের দিন শুক্রবার অর্থাৎ ৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৩১ জুলাই ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩২১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে যাত্রী ও মালামাল নিয়ে উত্তরাঞ্চলের দিকে এসেছে ৩২ হাজার ৮৫টি যানবাহন এবং উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকার দিকে ফিরেছে ১৬ হাজার ২৩৬টি যানবাহন। এর আগের বছর ঈদুল আজহার আগে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার ২৪৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছিল।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কজুড়ে যানবাহনের চাপ কমে এসেছে। ভোররাত থেকেই এই যানবাহনের চাপ কমে এসেছে বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। সকালে যানবাহন চলাচল করলেও তা ছিল স্বাভাবিক। 

বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যা থেকে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা বেড়ে গেলেও মহাসড়কে কোনো যানজট ছিল না। তবে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করেছে। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকেই যানবাহন চলাচলের সংখ্যা কমে এসেছে।