২০১০ সালে বিনামূল্যে অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়

টিএমএসএস ৮ বছরে ঠোঁট ও তালুকাটা ৭ হাজার শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়েছে

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০১৯ ১৪:২৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১২ বার।


আট বছরে ঠোঁট ও তালু কাটা ৭ হাজার শিশুকে বিনা মূল্যে অপারেশন করানোর মাইল ফলক ছুঁয়েছে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল। স্মাইল ট্রেইন ইনক. ইউএসএ ও টিএমএসএস স্মাইল ট্রেইন রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল ক্লেফ প্রজেক্টের মিলিত প্রচেষ্টায় ২০১০ সালে অপারেশন কার্যক্রম শুরু করার পর তাদের এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে শনিবার টিএমএসএস কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও এ্যাফেয়ার্স ব্যুরো‘র ডিরেক্টর জেনারেল কে.এম. আব্দুস সালাম স্মাইল ট্রেইন ইনক. ও টিএমএসএসর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ঠোঁট ও তালুকাটা একটি শিশু যে পরিবারে জন্ম নেয় সেই পরিবার তাকে নিয়ে খুব চিন্তিত থাকে। তবে টিএমএসএস ওই পরিবারগুলোর দুশ্চিন্তা দূর করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ বিনামূল্যে অপারেশনের মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব হয়েছে। এর মাধ্যমে পুরো একটি পরিবারেই যেন হাসি ফুটেছে।’
টিএমএসএস নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্মাইল ট্রেইন ইনক. ইউএসএ‘র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিসেস এরিন স্ট্রেইবার, রংপুর বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ অমল চন্দ্র সাহা, বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ এবং স্মাইল ট্রেইন ইনক. ইউএসএ (দক্ষিণ এশিয়া) এরিয়া ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ। স্বাগত বক্তৃতায় টিএমএসএসের উপ-নির্বাহী পরিচালক-২ ডাঃ মোঃ মতিউর রহমান জানান, ২০১০ সালে এই অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়  যা এখনও চলছে। 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ মোঃ আব্দুস শুকুর, সিসিম ওয়ার্কসপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম, টিএমএসএস পরিচালক মোঃ খোরশেদ আলম (শিক্ষা ও ইএস) বক্তৃতা করেন। পওে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ঠোঁট ও তালুকাটা রোগীদের অপারেশন বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন স্মাইল ট্রেইন রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল ক্লেফ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান সার্জন প্রফেসর ডাঃ মোঃ সাজ্জাদ খন্দকার। আলোচনা সভা শেষে শিশু ও অতিথিদের পাপেট শো সিসিমপুর প্রদর্শন করা হয়। এর আগে সকালে বগুড়া শহরে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়।