নাইকো মামলা: আজও হুইল চেয়ারে আদালতে খালেদা জিয়া

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০৭:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১২ বার।

নাইকো দুর্নীতি মামলার হাজিরা দেয়ার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারা আদালতে হাজির করা হয়েছে।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে হুইল চেয়ারে করে হাজির করা হয়।

রাজধানীর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হুইলচেয়ারে করে আদালতে হাজির করা হয়। ওই শুনানি নিয়ে অসমাপ্ত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে আদালতে আনা হয়। সেদিন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিবরণ দিয়ে তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

ওই দিন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও শহীদুল ইসলামের চার্জ শুনানি শেষ না হওয়ায় পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন আদালত।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এসে বিচারককে আদালতের বিষয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ বছর জানুয়ারিতে তিন দিন এবং এ মাসে দুদিন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

নাইকো দুর্নীতি মামলা সূত্রে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

মামলা করার পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

প্রসঙ্গত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়।