দুই দিনের অভিযান শেষ

বগুড়ায় রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ২৪০টি স্থাপনা উচ্ছেদ

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০১৯ ১২:৫৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২১ বার।

বগুড়ায় রেলওয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান এবং বিভিন্ন ধরনের ১৫০টি স্থাপনা সোমবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। শহরতলীর শহরদীঘি, তিনমাথা রেলগেটসহ স্টেশন সংলগ্ন রেল লাইনের আশে-পাশের এলাকায় দিনভর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগৎ বন্ধু মণ্ডল। 
রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) বিপুল সংখ্যক সদস্যের অংশগ্রহণে উচ্ছেদ অভিযানে রেলওয়ের রাজশাহী বিভাগীয় স্টেট অফিসার নুরুজ্জামান এবং লালমনিরহাট বিভাগীয় স্টেট অফিসারের দায়িত্বে থাকা রেজোয়ানুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 
ওই একই টিম আগের দিন রোববার রেলওয়ে স্টেশনের বিপরীতে বাণিজ্যিক প্লটের সামনের অংশ থেকে কামারগাড়ি এলাকায় ৯০টি অবৈধ দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করে। অর্থাৎ দুই দিনের অভিযানে মোট ২৪০টি অবৈধ দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বগুড়ায় অবৈধ দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম আপাতত সমাপ্ত করা হয়েছে, তবে আগামীতে আবারও চলবে।
সোমবার সকালে শহরতলীর শহরদীঘির হাজির মিল এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। দুপুর পৌণে ১২টার দিকে তিনমাথা রেলগেটের পশ্চিমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পেছনে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১৯টি দোকান বুল ডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। উচ্ছেদকালে ওইসব দোকান মালিকদের পক্ষে আব্দুল গফুর নামে একজন ‘মামলা রয়েছে’ অযুহাত তুলে অভিযানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। 
 আব্দুল গফুর জানান, দোকানগুলো অবৈধভাবে তোলা হলেও তারা রেলওয়েকে লাইসেন্স ফি দিতে ইচ্ছুক। কিন্তু রেলওয়ে নিতে রাজি না হওয়ায় তারা কয়েক বছর আগে আদালতে মামলা করেছেন। তিনি বলেন, ‘মামলা যেহেতু চলমান তাই দোকানগুলো রেলওয়ে কোনভাবেই উচ্ছেদ করতে পারেন না।’ জবাবে রেলওয়ের রাজশাহী বিভাগীয় স্টেট অফিসার নুরুজ্জামান বলেন, ‘জায়টি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। মামলা করা হলেও আদালত থেকে উচ্ছেদ অভিযানের ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তাই সেগুলো উচ্ছেদ করতে কোন বাধা নেই।’
বগুড়া রেলওয়ের ভূমি অফিসের কানুনগো গোলাম নবী জানান, তিনমাথা রেলগেটে অভিযান চালানোর পর রেল লাইনের পাশের অন্যান্য অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সময় অনেকে স্বেচ্ছায় তাদের স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেন। তিনি বলেন, ‘আপাতত অভিযান শেষ। তবে অভিযানকালে যেসব দোকান মালিকের লাইসেন্স ফি বকেয়া রয়েছে তাদেরকে এক সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের দোকানগুলোও উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’