হিরো আলম এখন কারাগারে

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০১৯ ১১:৫৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৭০ বার।

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারপিটের অভিযোগে গ্রেফতার সেই আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় হিরো আলমকে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে তার পক্ষে স্থানীয় একজন আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। তবে শুনানী শেষে বিচারক আহম্মেদ শাহরিয়ার তারিক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের মৃত আহম্মদের ছেলে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম পেশায় ক্যাবল অপারেটর বা ডিশ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তবে পরবর্তীতে মিউজিক ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। গত একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচে তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। নির্বাচনে তার প্রার্থীতা নিয়েও দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
পুলিশ জানায়, যৌতুক হিসেবে দাবি করা ১ লাখ টাকা না দেওয়ায় হিরো আলম গত মঙ্গলবার দুপুরে তার স্ত্রী সাবিয়া আক্তার সুমিকে (৩০) মারপিট করেন বলে তার শ্বশুড় সাইফুল ইসলাম খোকন বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মারপিটে আহত সুমিকে ওইদিন রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বুধবার বিকেলে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন। ওইদিন রাতে পুলিশ হিরো আলমের শ্বশুড়ের দাখিল করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন। এরপর রাত পৌণে ১১টার দিকে সদর থানার সামনে থেকে হিরো আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হিরো আলমের স্ত্রী সুমি বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়েসহ একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ করেন। এর প্রতিবাদ করায় হিরো আলম তাকে মারপিট করে। তবে গ্রেফতারের আগে হিরো আলম দাবি করেছিলেন, মঙ্গলবার রাতে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন তাকে মারপিট করে ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। তিনি ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি। তিনি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার পাল্টা অভিযোগ উত্থাপন করেন।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম জানান, হিরো আলমের বিরুদ্ধে ২০১২ সালেও নারী নির্যাতনের একটি মামলা হয়েছিল। তিনি বলেন, সরেজমিন তদন্তকালে হিরো আলমের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে মারপিট সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ওই অভিযোগে বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়। 
বগুড়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ জানান, বুধবার বেলা ৩টার দিকে হিরো আলমকে বগুড়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এ সময় মাসুদুর রহমান স্বপন নামে এক আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালত শুনানি শেষে হিরো আলমের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।