জেনেভায় টিএমএসএস প্রধান ড. হোসনে আরা

মানবাধিকার সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকার সক্রিয় অবদান রাখছে

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০১৯ ১০:১১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৪ বার।

বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার সংরক্ষণে সক্রিয় অবদান রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগম। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ৪০তম অধিবেশনে অংশ নিয়ে ড. হোসনে আরা বলেন, ‘সরকার তথ্য অধিকার কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনসহ স্বাধীন বহু প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি এবং শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে সার্বিক মানবাধিকার সংরক্ষণে সক্রিয় অবদান রাখছেন।’
ড. হোসনে আরা বেগম তার বক্তৃতায় বলেন, সরকার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারা দেশের সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত সকল সনদ, আর্টিকেল আইন বাস্তবায়নে সক্রিয় কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জোরেশোরে কাজ করছে। 
বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের বর্ণনা দিতে গিয়ে ড. হোসনে আরা বেগম আরও বলেন, জনবহুল গ্রাম সমৃদ্ধ বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়েছে। নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়গুলি দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে। তারই ফলশ্রুতিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার, বিচারপতি এবং সেনা বাহিনীর উর্ধ্বতন পদে এখন নারীদের আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনকি গ্রাম পর্যায়েও নারী নেতৃত্ব বেড়েছে। 
টিএমএসএসের কার্যক্রমের বর্ণনা দিতে গিয়ে ড. হোসনে আরা বলেন, টিএমএসএস পাড়া দলের (পিজি) সমন্বয়ে গ্রাম সংগঠন (ভিও) এবং ভিও-এর সাথে সুশীল সমাজের নিজ গ্রামের ব্যক্তিকে একিভূত করে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি (ভিডিসি) একইভাবে ইউনিয়ন উন্নয়ন, উপজেলা উন্নয়ন ও জেলা উন্নয়ন কমিটি গঠন করে সকল অধিকার খর্ব অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে জনগণকে সংঘটিত করছে। 
ড. হোসনে আরা বেগম জাতিসংঘ কর্মকর্তাদেরকে বাংলাদেশ সফরের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আগামীতে বাংলাদেশের গ্রামকে শহর এবং দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার সকল কার্যক্রম, কলাকৌশল আমাদের সরকারের সীমিত সম্পদ দিয়েই করে চলছেন। আপনারা আসুন, বাংলাদেশ দেখে যান। এক কালের মঙ্গাপীড়িত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের উন্নতি দেখে আসুন।’