বগুড়ায় মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২১ ১৩:১৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৬ বার।

বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ফের শুরু করা হয়েছে।  ১০ জুন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আদমদীঘির মুরইল বাসস্ট্যান্ড, আদমদীঘি সদর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেন বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি টিম। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি কামরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে বগুড়ার নির্বাহি প্রকৌশলী আছাদুজ্জামান ও উপ নির্বাহি প্রকৌশলী রাফিউল ইসলামসহ পুলিশ, আর্মড পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এই অভিযানে অংশ নেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, পর্যায়ক্রমে মহাসড়কের সকল স্থানে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা স্থপনা উচ্ছেদ অভিযান চলবে। 


বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দুই পাশের জায়গায় বগুড়ার চারমাথা থেকে শুরু করে দুপচাঁচিয়া, চৌমুহনি, সাহারপকুর, মুরইল, আদমদীঘি সদর, পূর্ব ঢাকারোড, সান্তাহার কলাবাগানসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও জনপথের জায়গা অবৈধ ভাবে জবরদখল ও স্থাপনা তৈরী করা হয়। বিগত ২০১৯ সালের শেষের দিকে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ বগুড়ার চারমাথা থেকে আদমদীঘি সদর বাসস্ট্যান্ড, মুরইল ও সান্তাহার পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় গড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সমস্ত স্থাপনা গুড়িয়ে দেন। এর কিছু দিন পর সান্তাহার, পূর্ব ঢাকারোড, আদমদীঘি সদর, মুরইলসহ বগুড়ার চারমাথা পর্যন্ত একটি মহল প্রভাব খাটিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভারে উচ্ছেদ করা ওইসব জায়গায় ফের মাটি ভরাট করে অবৈধ ভাবে স্থাপনা গড়ে তোলে। কোথাও কোথাও স্থাপনা তৈরী করে ভাড়া দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। ফলে মহাসড়কে সার্বক্ষনিক যানজটের পাশাপশি পানি নিস্কাশনের পথটিও বন্ধ হয়। মাটি ভরাটের কারনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সীমাহিন দূর্ভোগে পড়েন কৃষকরা। গতকাল ১০ জুন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আদমদীঘির মুরইল বাসস্ট্যান্ড, আদমদীঘি সদরসহ কয়েকটি এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় পুনরায় নতুন করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানের প্রথম দিনেই প্রায় দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।


মুরইল এলাকায় অভিযানের নেতৃত্বদানকারি সড়ক ও জনপথের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গার কোন অবৈধ দখলকারি ও স্থাপনা থাকবেনা। পর্যায়ক্রমে সকল জায়গায় উচ্ছেদ ও গুরুত্বপূর্ণ বাজার এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হবে।