কেন ১৫ বছরেই তার পিরিয়ড বন্ধ?

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০১৯ ১৪:০৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৯ বার।

পিরিয়ড নারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়া বা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া সবই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সাধারণ নারীদের ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সে পিরিয়ড হয়ে থাকে। একে নিয়মিত পিরিয়ড বলা হয়। আবার ৪৫ থেকে ৫৫ বছরে বয়সের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একে মেনোপজ বলা হয়।

পিরিয়ড হওয়া ও বন্ধ হওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া রয়েছে।এতে ব্যাঘাত ঘটলে তা ক্ষতিকর।

এমনি ঘটনা ঘটেছে অ্যানাবেলের বেলায়। দু'বছর আগে প্রথমবার যখন অ্যানাবেলের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় তখন সে বুঝতে পারেনি।কিন্তু পরে যখন তার 'হট ফ্লাশ'বা হঠাৎ করে গরম লাগার অনুভূতি হতে থাকে।

এসব লক্ষণ ক্রমাগত বাড়তেই থাকলো অ্যানাবেল ইন্টারনের সহযোগিতায় অনেক কিছু জানতে পারে।পরবর্তীতে ডাক্তারের কাছে গিয়ে সে তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সত্য জানতে পারে।

অ্যানাবেলের পিরিয়ড বন্ধ হওয়াকে ডাক্তারি ভাষায় মেনোপজ বলা হয়। মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার মা হওয়ার স্বপ্ন বিনাস হয়। এমনি একটি তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

বিবিসিকে অ্যানাবেল জানায়,আমার এই সমস্যা জানান পরে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েয়েন মা।ছবি আঁকার মধ্যে দিয়ে আমার মনের কষ্টের অনুভূতি প্রকাশের চেষ্টা করি।আমি কখনো মা হতে পারবো না এই বিষয়টি মেনে নিতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছিল আমার মায়ের।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০ বছরের কম বয়স্ক নারীদের প্রতি ১০ হাজার জনের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। আর নব্বই শতাংশ ক্ষেত্রেই এর কারণ থাকে অজানা। এছাড়া চিকিৎসকের পক্ষেও ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয় না যে কেন এমন হয়।

পিরিয়ড কী?

প্রতি চন্দ্র মাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে, তাকেই পিরিয়ড বা ঋতুচক্র বলে। মা‌সিক চলাকালীন পেটব্যথা, পিঠব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। পিরিয়ডে ভালো মানের ন্যাপকিন ব্যবহার করা জরুরি। এ ছাড়া কোনোভাবেই একই কাপড় পরিষ্কার করে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে।

মেনোপজ কী?

সাধারণত মেয়েদের ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে মেনোপজ হয়।মেনোপজ হচ্ছে একজন নারীর জীবনের সেই পর্ব যখন তার পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।বন্ধ হওয়ার কয়েক মাস আগে থেকেই পিরিয়ড অনিয়মিত হতে শুরু করে।এছাড়া হঠাৎ করে গরম লাগা, মনোসংযোগ না থাকা, মাথাব্যথা, দুশ্চিন্তা, যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া,ঘুমের ব্যাঘাত ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।

এছাড়া মেনোপজ হলে নারদের দেহে ইস্ট্রোজেন হর্মোনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে হাড় ক্ষয়, হাড় ভাঙা, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।