উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ

নওগাঁর রাণীনগরে আ’লীগ ও যুবলীগের ১০ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার: মাইকিং করে প্রচার

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর উপজেলা (নওগাঁ) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০১৯ ১৪:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৩ বার।

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ওই দু’টি সংগঠনের ১০ নেতা-কর্মীমে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে প্রায় দশদিন আগে বহিস্কারাদেশের চিঠি ইস্যু করা হলেও বুধবার রাত থেকে মাইকিং করে তা প্রচার করা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গোপন আঁতাত, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং তাদের সমর্থন প্রদানের কারণে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ওই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 
যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা হলেন : রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল বারী মোল্লাহ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, সদস্য রেজাউল ইসলাম বেলাল, প্রাথমিক সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল, কালীগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুৃদ্দুস ও একডালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাসান মোল্লা। 
যুবলীগ থেকে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা হলেন: রাণীনগর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, সহ-সম্পাদক হারুন মোল্লা, সদস্য মীর মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন ও একডালা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বছির আলী মিঠু।
রাণীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একডালা ইউনয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে ওই একই পদে রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন হেলাল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল ইসলামও প্রার্থী হন। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। বিষয়টি রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের নজরে আসে।
রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন জানান, বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আঁতাত করে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় গত ২ মার্চ আওযামী লীগের ৬ নেতা-কর্মীকে  গঠনতন্ত্রের ৪৭(ক), ৪৭(ঙ) এবং ৪৭ (ঠ) ধারা মোতাবেক দলীয় পদবী প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিলসহ  বহিষ্কার করা হয়েছে। একই কথা জানিয়ে রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় গত ৩ মার্চ তার সংগঠনের ৪ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এভাবে সরাসরি কাউকে বহিষ্কার করা যায় কি’না-এমন প্রশ্নের উত্তরে উভয় নেতা সাংবাদিকদের বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তারা তাদের অধীন যে কোন কমিটির যে কোন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। তবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত মাইকিং করার কারণ সম্পর্কে তারা কোন কথা বলতে রাজি হননি।
রাণীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল ইসলাম বলেন, বহিষ্কারের বিষয়টি শুনেছি, কিন্তু এখনো কোন চিঠি পাইনি। বহিষ্কৃত অপর নেতা কালীগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘বুধবার রাতে মাইকিংয়ের সময় বহিষ্কারের খবরটি জানতে পারি।’