গণভবনে ভিপি নুরসহ ডাকসু নেতারা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০১৯ ১০:১০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৫ বার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবন গণভবনে পৌঁছেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ নবনির্বাচিত নেতারা।

শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গণভবনে পৌঁছান তারা। নুরের সঙ্গে আলাদা গাড়িতে গণভবনে পৌঁছান ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক হন আকতার হোসেন। তারা দু’জনই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হন।

আলাদাভাবে গণভবনে এসেছেন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের প্যানেল থেকে ডাকসুর নির্বাচিতরা নেতারা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাসে করে গণভবনে পৌঁছান। হল সংসদের ২৩৪ জন নির্বাচিত প্রতিনিধিও এসেছেন গণভবনে।

এদের মধ্যে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ রয়েছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভনও।

গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডাকসুর ২৫ পদের মধ্যে ২৩ পদে জয়ী হন ছাত্রলীগের নেতারা। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হন কেবল নুর ও আকতার।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এই প্রেক্ষাপটে ভিপি পদে নুর দায়িত্ব নেবেন কি-না, তা নিয়ে আলোচনা তৈরি হওয়ার মধ্যে ডাকসুতে নির্বাচিতদের গণভবনে চায়ের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।

এই আমন্ত্রণ পেয়ে নুর বলেন, অনিয়ম কারচুপির পরও নির্বাচনে বিজয়ীদের প্রধানমন্ত্রী চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এখন সেটা সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি একা বললেতো হবে না, এখানে আরও অনেকে রয়েছেন, যারা স্বতন্ত্রভাবে মেয়েদের হলে নির্বাচিত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্যানেলগুলো রয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে এরপর সিদ্ধান্ত জানাতে হবে যে, যাবো কি-না।

পরে পুনর্নির্বাচন দাবিতে আন্দোলনকারীদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় নির্বাচিতরা গণভবনে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই চায়ের অনুষ্ঠানে ডাকসুর নেতৃত্ব ছাড়াও থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রোভিসি) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষক নেতারা।