রাণীনগরে মসজিদের টাকাকে কেন্দ্র করে বাড়ী-ঘরে হামলা,ভাঙ্গচুর ও মারপিটের অভিযোগ

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০১৯ ১২:৫৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯২ বার।

নওগাঁর রাণীনগরে মসজিদের টাকাকে কেন্দ্র করে বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুর ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে । এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার একডালা ইউনিয়নের দুধকুন্ঠি গ্রামে । এঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।


জানাগেছে,ওই গ্রামের জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত ফেব্রুয়ারী মাসে। কমিটির মেয়াদ শেষে হিসাব অন্তে দুই লক্ষাধীক টাকা জমা থাকে ক্যাশিয়ার আত্তাব আলীর কাছে। এমতবস্থায় গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্যাশিয়ার আত্তাব আলী মুসল্লিদের জানান তার নিকট থেকে জমাকৃত টাকা বুঝে নেবার জন্য। এসময় ইব্রাহীমসহ কয়েকজন এখনই টাকা দিতে হবে দাবি করলে আব্দুল মজিদসহ কয়েকজন বলেন নতুন কমিটি গঠন করে রেজুলেশনের মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর করতে। এবিষয়কে কেন্দ্র করে মসজিদের ভিতরই মারপিটের ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে বিকেল নাগাদ কতিপয় লোকজন আব্দুল মজিদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বাড়ীর দরজা,জানালাসহ বেশ কিছু আসবাবপত্র ভাংচুর ও তছনছ করে। এছাড়া মজিদের স্ত্রীকে মারপিট করে হামলাকারীরা চলে যায়। এঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। তবে ঘটনাটি নিয়ে ওই গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। 


আব্দুল মজিদ জানান, কয়েক জন মুসল্লি ক্যাশিয়ারের নিকট জমাকৃত টাকা দাবি করে। এসময় আমি শুধু বলেছিলাম নতুন কমিটি করে রেজুলেশনের মাধ্যমে টাকা জমা নিতে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এবং আমার প্রতিবেশি চাচা আত্তাবকে মারপিট করে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছে । তারা আমাদেরকে নামাজ পর্যন্ত পড়তে দেয়নি। আমি চিকিৎসা নিতে চাঁপাপুর গেলে আমার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে দরজা,জানালা,চালের টিন এবং বাড়ীর বেশ কিছু আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করে তছনছ করেছে ।এছাড়া আমার স্ত্রীকে মারপিট করে শ্লীনতাহানী করেছে। এঘটনার পর থেকে আতংকে এবং প্রতিপক্ষের লোকজনের হুমকি-ধামকির কারনে বাড়ীতে যেতে পারছেননা বলে দাবি করেছেন তিনি।


এব্যাপারে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ জানান, ক্যাশিয়ারের কাছে জমাকৃত টাকাকে কেন্দ্র করে মারপিট এবং বাড়ী ঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান,এঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। নির্বাচনের পর বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।