বগুড়ায় আ’লীগের বিক্ষোভঃ নেতৃবৃন্দ বললেন ‘বিএনপি-জামায়াত সুযোগ সন্ধানী দল’

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট:
প্রকাশ: ০৯ অগাস্ট ২০১৮ ১৫:৫৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৬৯ বার।

শাসক দল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ায় বিক্ষোভ করেছে। শহরের টেম্পল রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বিএনপি-জামায়াতকে ‘সুযোগ সন্ধানী’ দল আখ্যায়িত করে বলেন, তারা নিজেরা কোন আন্দোলন সংগ্রাম করতে পারে না। তাই অন্যের ঘাড়ের উপর সওয়ার হয়। সর্বশেষ নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্ররা যখন আন্দোলনে নামলো তখন তাদের ভেতরে ঢুকে ধ্বংসাত্মক রাজনীতির অপচেষ্টা চালাতে শুরু করলো। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী ধৈর্য্য ও সহনশীলতা দিয়ে তাদের সেই অপকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছে।
বক্তারা বিএনপি-জামায়াতকে ষড়যন্ত্রকারী দল দাবি করে বলেন, তারা শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। শান্তিকামী মানুষকে কষ্ট দেওয়ায় তাদের মূল লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ থাকতে তা হতে দেবে না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে এইসব অপশক্তি মাথাচাঁড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
সকাল ১১টায় বিক্ষোভ সমাবেশের শুরুতেই পনের আগস্ট নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্মরণ এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ উদ্দিন। পরে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বগুড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, তোফাজ্জল হোসেন দুলু, আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন মুকুল, শাহ আব্দুল খালেক, রাগেবুল আহসান রিপু, টি.জামান নিকেতা, মুঞ্জুরুল আলম মোহন, আসাদুর রহমান দুলু, শাহরিয়ার আরিফ ওপেল, এ্যাড. তবিবর রহমান তবি, শাহ্্ আখতারুজ্জামান ডিউক, এ্যাড. জাকির হোসেন নবাব, সুলতান মাহমুদ খান রনি, শেরিন আনোয়ার জর্জিস, সাগর কুমার রায়, এস এম রুহুল মোমিন তারিক, এস এম শাজাহান, এবিএম জহুরুল হক বুলবুল, মাশরাফী হিরো, আলরাজী জুয়েল, তপন চক্রবর্তী, হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, তৌহিদুর রহমান মানিক, টি.আই.এম নুরুন্নবী তারিক, এ.এইচ আজম খান, আজিজুল হক, মিজানুর রহমান খান সেলিম, রফি নেওয়াজ খান রবিন, আবু সুফিয়ান সফিক, সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, আহসান হাবিব আম্বিয়া, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, তালেবুল ইসলাম তালেব, আব্দুল খালেক দুলু, ফজলুল হক ফজলু, আব্দুল মান্নান, মাফুজুল ইসলাম রাজ, রফিকুল ইসলাম রফিক, আব্দুর রাজ্জাক মিলু, আলমগীর শাহী সুমন, ওবায়দুল হাসান ববি, মিজানুর রহমান বকুল, এডনিস বাবু তালুকদার, আলমগীর বাদশা, সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরথী, আব্দুস সালাম, সামছুদ্দিন শেখ হেলাল, শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, জুলফিকার রহমান শান্ত, মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, অ্যাডভোকেট লাইজিন আরা লিনা, ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, অসীম কুমার রায়, মারুফ রহমান মঞ্জু, আব্দুল মান্নান আকন্দ, আলিমুদ্দিন, সওকাতুল ইসলাম সরকার সবুজ, কামরুল হাসান ডালিম, রুহুল আমিন তালুকদার বেলাল, বদরুজ্জামান খান বদের, মোর্শেদুল ইসলাম, মিটু চৌধুরী, বেলাল তালুকদার, আব্দুল মতিন সরকার, কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু, কবিরাজ তরুন চক্রবর্তী, মেজবাউল হামিদ, আরিফুর রহমান আরিফ, মোস্তাকিম রহমান, রেজাউল করিম রতন ও হোসনে আরা হাসি।