৪০ জনকে আসামী করে মামলা

নওগাঁর ধামইরহাটে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ২

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০১৯ ১৪:২৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২০০ বার।

নওগাঁর ধামইরহাটে ভোটকেন্দ্রের সামনে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে ধামইরহাট থানা পুলিশ। এ হামলার ঘটনায় আরও ৪০ জনকে আসামী করে ধামইরহাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজশাহীর চারঘাট থানার উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার রাতেই ধামইরহাট থানায় এ মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪২) ও একই গ্রামের মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে জিল্লুর রহমান (২৭)। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। 
 

ধামইরহাট থানার ওসি জাকিরুল ইসলাম জানান, ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আড়ানগর ইউনিয়নের ফতেপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুলিশের মোবাইল ডিউটি চলাকালে ৩০/৪০ জনের সংঘবদ্ধ বাহিনী অবৈধ ভাবে ভোটের দিন মোটরসাইকেল নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি চেষ্টা করা কালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম পুলিশকে বিশৃঙ্খলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দিলে স্থানীয় জিল্লুর রহমান, ফারুকসহ অন্যান্যরা পুলিশের উপর চড়াও হয় এবং মারপিট শুরু হলে পুলিশ সদস্য গাড়ী চালক আব্দুস শরীফ, কনষ্টেবল সাব্বির, সজীব, সিরাজুল ইসলাম, আহমেদ ও রোমান মারপিটে আহত হন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামের গাড়ী চালক কনস্টেবল আব্দুস শরীফ গুরত্বর আহত হলে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে তাকে নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ফতেপুর গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪২) ও মৃত আ. ছালামের ছেলে জিল্লুর রহমান (২৭) কে আটক করে এবং ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরও ৪০ জনের নামে রাজশাহীর চারঘাট থানার উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। ওই সময় তিনি ভোটের ডিউটিতে ফতেপুর এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। 
 

ধামইরহাট থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ম্যাজিষ্ট্রেট, বিজিবি-পুলিশ বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিয়োজিত বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি জেনেও কার নির্দেশে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা, দখলের চেষ্টা ও পুলিশের উপর হামলা করা হলো, তা জানতে বিজ্ঞ আদালতের কাছে আসামীদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। 
 

পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, “আমার সামনেই হামলার ঘটনা ঘটতে দেখেছি, তাই এ হামলার সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।”
 

মামলায় মাত্র ৫ জন এজাহার নামিয় আসামী ও ৩৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামী হওয়ায় ওই এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে গ্রেপ্তার আতংক দেখা দিয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে বলে স্থানীয়দের সুৃত্রে জানা গেছে।