মুক্তিযোদ্ধা আ’লীগ নেতার বসত-বাড়ি ভাংচুর

বগুড়ার সান্তাহারে বিদেশী পিস্তলসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

আদমদীঘি উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০১৯ ১৭:৪৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২০ বার।


বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার থেকে মঙ্গলবার রাতে বিদেশী পিস্তলসহ মশিউর রহমান সজল (২৪) নামে স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি সান্তাহারের মৃত মহসীন আলীর ছেলে। কয়েক বছর আগে তাকে আদমদীঘি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই কমিটি শেষ পর্যন্ত  কেন্দ্রের অনুমোদন লাভে ব্যর্থ হয়।
সজলের বিরুদ্ধে আনছার আলী নামে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতার বসত-বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানায়, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আনছার আলীর ছেলে মারুফ হাসান রবীনও ছাত্রলীগ নেতা। ছাত্রলীগের আদমদীঘি উপজেলা কমিটির নেতৃত্ব নিয়ে তার সঙ্গে মশিউর রহমান সজলের বিরোধ চলে আসছে। গত ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ নেতা রবীনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী ভাইস চেয়ামর‌্যান পদে প্রার্থী হন। 
ওই একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ছাত্রলীগ নেতা সজলের মামা মাহমুদুর রহমান পিন্টুও। দু’জনের মধ্যে মাহমুদুর রহমান পিন্টু নির্বাচিত হলে ছাত্রলীগ নেতা সজল ও রবীনের মধ্যে বিরোধ আরও তুঙ্গে ওঠে। নির্বাচনের পর দিন মঙ্গলবার বিকেলে সন্তাহার বাজারে ছাত্রলীগ নেতা সজলের সঙ্গে রবীনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাতে ছাত্রলীগ নেতা রবীনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলীর সান্তাহারের বসত-বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়।
আদমদীঘি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বসত-বাড়িতে হামলার ঘটনায় আনছার আলী রাতে থানায় অভিযোগ করেন। এর পর পরই পুলিশ তদন্তে নামে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা সজলের খোঁজে তার বাড়িতে গেলে তার হেফাজতে বিদেশী একটি পিস্তল ও একটি ম্যাগজিন পাওয়া যায়। তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আদমদীঘি থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সজলের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং বসত-বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ দু’টি মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, ‘অস্ত্র মামলাটি পুলিশ বাদী হয়ে করবে এবং বসত-বাড়ি ভাংচুর ও লুটের মামলা করবেন আনছার আলী সাহেব।’