ঘষামাজা-এফিডেভিটেও বিয়ে হলো না দুই কিশোরীর

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০১৯ ১১:৫৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৫ বার।

সনদে ঘষামাজা আর এফিডেভিটের মাধ্যমে বয়স পরিবর্তন করেও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারল না চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দুই কিশোরীর।

একজনের অভিভাবক সুকৌশলে জন্মনিবন্ধন সনদে ঘষামাজা আর অন্যজনের অভিভাবকরা হলফনামায় বয়স পরিবর্তন করে। এ দুটি বাল্যবিবাহ ঠেকালেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।

বুধবার বিকালে উপজেলার মেখল ইউনিয়নে ও মঙ্গলবার রাতে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে ওই দুই কিশোরীর বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।

জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ মেখলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে ওই এলাকার স্থানীয় এক ব্যবসায়ী যুবকের বিয়ে ঠিক করেছিল তার পরিবার। তবে মেয়েটির জেএসসি সনদে জন্মতারিখ ছিল ২০০৫ সালের ১০ অক্টোবর। আর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেয়া জন্মসনদে ২০০২ সালের ৪ অক্টোবর।

ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম সনদে ঘষামাজা করে মেয়েটির পরিবার ২০০২ সালের জায়গায় ২০০০ সাল বানিয়ে বুধবার বিকালে আকদের আয়োজন করে বলে জানান ইউওনও রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে দক্ষিণ মেখল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে হাজির হই। এ সময় বয়স ঠিক আছে বলে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা দাবি করলে আমরা অনলাইনে যাচাই করে বয়স ঘষামাজার বিষয়টি দেখতে পাই। পরে পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।

অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ এলাকায় এক মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে প্রবাসী এক যুবকের বিয়ের আয়োজন করা হয়। জন্মসনদ অনুযায়ী মেয়েটির জন্মতারিখ ছিল ২০০২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি।

স্থানীয় একজন বিষয়টি ইউএনও রুহুল আমিনকে অবহিত করলে তিনি ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীর বাড়িতে যান। সেখানে তারা এফিডেভিট করে মেয়েটির জন্ম সাল ২০০০ করার বিষয়টি জানায়।

তবে জন্মতারিখ পরিবর্তন করার কোনো নিয়ম না থাকায় পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বিয়ে ঠেকানো হয়েছে বলে জানান ইউএনও।