২ ঘণ্টার জন্য ড. সামাদের মরদেহ কাছে পেয়েছিলেন স্বজনরা
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদে হামলায় নিহত বাংলাদেশি কৃষিবিদ ড. আব্দুস সামাদের মরদেহ পেয়েছেন স্বজনরা।
বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত তিনটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে মরদেহ পাঠায়। পরে মরদেহে কাফন পরানো শেষে দাফনের জন্য আবারও নিয়ে আসে সরকারি কর্তৃপক্ষ।
তবে দাফন কখন হবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি নিহতের কোন স্বজন। সামাদের মরদেহ দুই ঘণ্টার মত স্ত্রী-সন্তানের কাছে ছিল বলে জানান ঢাকায় অবস্থানরত নিহতের বড় ছেলে তোহা মোহাম্মদ।
তোহা মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশ সময় রাত তিনটার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ আমাদের নিউজিল্যান্ডের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। গোসল করানোর পর কাফন শেষে আবারও মরদেহ নিয়ে যায়। দুই ঘণ্টা মরদেহের পাশে ছিলেন মা ও ভাইয়েরা।
তোহা জানায়, তারও নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ মূহুর্তে নিউজিল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় যেতে পারেননি।
এদিকে নিহত ড. সামাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌর এলাকার মধূর হাইল্যা গ্রামে শোকের মাতম থামছে না। এ বর্বর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি স্বজনদের।
নাগেশ্বরী পৌর এলাকার মধূরহাইল্যা গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে ড. সামাদ নাগেশ্বরীতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে বাকৃবি থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে ১৯৮০ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। এর আগে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটেও চাকরি করেছেন কৃষিবিদ সামাদ। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত অবস্থায় ১৯৮৮ সালে নিউজিল্যান্ডের লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যান। দেশে ফিরে আবারও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক হন। চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি অবসর নিয়ে নিউজিল্যান্ডে চলে যান পরিবার নিয়ে। ড. সামাদের তিন ছেলে। দুই ছেলে ও স্ত্রী কিশোয়ারা সুলতানাকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করতেন সামাদ। বড় ছেলে ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। খবর সমকাল অনলাইন।