দুই শিক্ষার্থীর কারণে বেঁচে গেল কন্যা সন্তানটি

বগুড়ায় আ. হক কলেজের শহীদ মিনারের পাশে জঙ্গলে পড়ে থাকা নবজাতক উদ্ধার

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০১৯ ১৭:০৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬২৩ বার।

বগুড়ায় সরকারি আজিজুল হক কলেজে নতুন ভবনের শহীদ মিনারের পাশে জঙ্গলের ভেতরে পড়ে থাকা এক নবজাতককে ওই কলেজেরই দুই শিক্ষার্থীর সহায়তায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঠোঁট ও তালুকাটা শিশুটিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে এস ও এস শিশু পল্লীতে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই কন্যা শিশুটি সুস্থ রয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, সরকারি আজিজুল হক কলেজের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র শামীম রেজা এবং বিবিএতে অধ্যয়নরত আব্দুল্লাহ্ বুধবার রাত ১০টার দিকে কলেজের শহীদ মিনারের পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। এরপর তারা শহীদ মিনারের পাশে জঙ্গলের ভেতরে একটি শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তারা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। ওসি বদিজ্জামান বলেন, ‘৯৯৯ থেকে আমাকে ফোন করে নবজাতক শিশু পড়ে থাকার কথা জানানো হয়। এরপর পার্শ্ববর্তী স্টেডিয়াম ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসানকে সেখানে পাঠানে হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় শিশুটির গায়ে কোন কাপড় ছিল না। ওই দুই ছাত্র নিজেদের টি-শার্ট শিশুটির গায়ে জড়িয়ে দেয়। পরে ওই কন্যা শিশুটিকে উদ্ধার করে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
শজিমেক হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. নাসরিন জাহান জানান, শিশুটিকে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল তখন তার হাত-পা ঠাণ্ডা ছিল। গায়ের রঙ নীল হতে শুরু করেছিল। দ্রুত তাকে স্যালাইন দেওয়া হয় এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) আমি শিশুটিকে দেখেছি। সে অনেকটাই সুস্থ। তবে জন্মগতভাবেই ঠোঁট ও তালুকাটা হওয়ার কারণে শিশুটি নিজে থেকে দুধ খেতে পারে না। বিকেল ৪টার দিকে ফজলুল হক নামে পুলিশের স্থানীয় স্টেডিয়াম ফাঁড়ির এক সাব ইন্সপেক্টর শিশুটিকে নিয়ে যায়। শুনেছি শিশুটিকে কোন এতিম খানায় দেওয়া হয়েছে। তবে এই অবস্থায় শিশুটিকে না পাঠিয়ে হাসপাতালে আরও কিছুদিন রাখা উচিত ছিল। কারণ যেহেতু  সে নিজে থেকে দুধ টানতে পারে সে কারণে তাকে বিশেষভাবে পরিচর্যা করা প্রয়োজন।’
যোগাযোগ করা হলে বগুড়া স্টেডিয়াম ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর ফজলুল হক বলেন, ‘যেহেতু দেখাশোনার কেউ নেই তাই আমরা (পুলিশ) ভালোর জন্যই শিশুটিকে  আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে এসওএস শিশু পল্লীতে রেখে এসেছি।’