ধুনটে দৃষ্টিনন্দন শামুকখোল

আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ. ধুনট (বগুড়া) থেকে
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০১৯ ১৪:০৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪৪ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নদী, খাল-বিল বা ধান ক্ষেতে দেখা মিলছে দৃষ্টিনন্দন শামুকখোল পাখির। ঝাঁক বেঁধে শামুকখোলের খাবার শিকার বা উড়ে চলা যেন প্রকৃতির সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তুলেছে। 

বাংলাদেশে বড় পাখিদের একটি শামুকখোল। ধূসর সাদা শামুকখোলের লেজ ও পাখার শেষ অংশ কালো রঙ্গের। পাখিটি ৮১ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য এবং এর পাখার দৈর্ঘ্য হয় চুয়াল্লিশ সেন্টিমিটার। শামুকখোলের দেহের সবচেয়ে আকর্ষনীয় হচ্ছে ঠোঁট। প্রায় ১৪ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য দু’ঠোঁটের মাঝে ফাঁকা থাকে। শামুকখোল সব সময় দল বেঁধে চলে। 

সম্প্রতি ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ও গোপালনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে শামুকখোল পাখির কয়েকটি দল দৃষ্টি গোচর হয়েছে। নদী, খাল ও ধান ক্ষেতে দল বেঁধে খাবার সংগ্রহ করতে দেখা যায়। হেটে হেটে পানিতে ঠোঁট ডুবিয়ে সংগ্রহ করে খাবার। দেখতে বকের মত হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ বড় আকারের বা ভিন্ন প্রজাতির বক হিসেবে ভাবছেন। বড় আকৃতির পাখির দল বেঁধে খাবার সংগ্রহ ও উড়ে চলা সাধারণ মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। দূর থেকে এসব পাখি দেখতে ভিড় করছেন অনেকে। জলজ এ পাখিকে অধিকাংশ সময় ধান ক্ষেতে খাবার সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তবে খাবার সংগ্রহ শেষ হলে বিশ্রামের জন্য উঁচু গাছে আশ্রয় নেয় শামুকখোল। গ্রামীণ জনপদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তুলেছে শামুকখোল। 

গোপালনগর ইউনিয়নের দেউড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম জানান, ইছামতি নদীতে অল্প পানিতে এক সপ্তাহ যাবত শামুকখোল পাখিকে দল বেঁধে খাবার সংগ্রহ করতে দেখা যায়। খাবার সংগ্রহ শেষ হলে পাখি গুলো নদী তীরের সবচেয়ে উঁচু গাছ গুলোতে আশ্রয় নেয়। তবে স্থানীয় লোকজন এ পাখির সঠিক নাম জানে না।