৬ গুণীজনকে সম্মাননা প্রদান

শেরপুরে সাহিত্য চক্রের ৩৪তম বর্ষপূর্তি ও প্রকাশনা উৎসব

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০১৯ ১৪:১৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮১ বার।

বগুড়ার শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সাহিত্য চক্রের ৩৪তম বর্ষপূতি শনিবার বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে। এরমধ্যে স্বরচিত কবিতা পাঠ, সাহিত্য আলোচনা, পত্রিকার মোড়ক উম্মোচন ও গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান ছিল অন্যতম। এদিকে অনুষ্ঠানের শুরুতেই এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের স্থানীয় গুরুত্বপুর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


পরে বেলা ১০টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সাহিত্যচক্রের সভাপতি ম-লীর সদস্য বিশিষ্ট কবি ডা. রহমতুল বারীর সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভা প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের শিল্পকলা একাডেমী ও জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক এবং কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমীর পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মারুফুল ইসলাম, ঢাকা ইব্রাহিম ডায়াবেটিক সেন্টারের পরিচালক কবি ও সমালোচক ফরিদ কবির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ, টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ একেএম নুরুল ইসলাম। এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সাহিত্যিক ও কবি খৈয়াম কাদের,  বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. বেলাল হোসেন, কবি নূর মোহাম্মদ তালুকদার, আব্দুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সাহিত্য চক্রের আহবায়ক সুলতান মাহমুদ রনি ও কবি শহিদুল ইসলাম।


এদিকে উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় এ বছরও ৬জন গুণিজনকে সাহিত্য চক্রের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে কাজী রাফী (গদ্য সাহিত্য) ও ডা. আমিরুল হোসেন চৌধুরীকে (পদ্য সাহিত্য) এসএম রাহী পুরস্কার, রাশেদ রেহমান (সাহিত্যে) ও নিমাই ঘোষকে (সাংবাদিকতায়) সাহিত্য চক্র পুরস্কার, এমআর জামান ও জামিল নবাবকে প্রিয় প্রজন্ম পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। প্রধান ও আমন্ত্রিত অতিথিরা তাঁদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দিয়ে সম্মাননা জানান। এর আগে অতিথিরা শ্বাশত বাংলার মুখ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন। এরপর প্রধান অতিথি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানকে সংগঠনের পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত ও স্থানীয় খ্যাতিমান সাহিত্যিকরা স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।