বগুড়ায় করতোয়া নদী দখলের অভিযোগে যাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০১৯ ১৭:৩০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৬৬ বার।

অবশেষে বগুড়ায় করতোয়া নদী দখলকারীদের উচ্ছেদে অভিযানে নামছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের ভাটকান্দি এলাকায় শুরু হওয়া অভিযানে নেতৃত্ব দিবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিন।
জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বগুড়া সদর উপজেলার দক্ষিণে ভাটকান্দি থেকে উত্তরে মহিষবাথান এলাকায় পাঁচটি মৌজায় করতোয়া নদীর দুই তীরে ৩৮টি স্থানে নদীর জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩১। বাদবাকী ৭টি স্থানে আবর্জনা এবং বালু উত্তোলনের কথা বলা হলেও কারা করছে তাদের নাম দেওয়া হয়নি। তবে দখলদারদের তালিকায় বগুড়া পৌরসভার নামও রয়েছে। নিচে মৌজাওয়ারী দখলদারদের নামের তালিকা দেওয়া হলো।


ভাটকান্দি মৌজায় বাইতুল হামদ জামে মসজিদ, বগুড়া পৌরসভা (পানির পাম্প), বাদশা (একটি টিনের ঘর ও ২০টি ইউক্যালিপটাস গাছ), হাজেরা বেওয়া (২০টি ইউক্যালিপটাস গাছ), বাহালুল (১০টি ইউক্যালিপটাস গাছ), সাত্তার (আধাপাকা টিনের ঘর), লালমিয়া (একটি টিনের চার চালা ঘর), বুলু (একটি টিনের ঘর ও একটি টিনের বেড়া), জাকির হোসেন (মাটি ভরাট করে আধাপাকা ঘর) ও খলিলুর রহমান (টিনের বেড়া)।
সুত্রাপুর মৌজায় টিএমএসএস (মাটি ভরাট করে টিনের ছাপড়া), গোপীনাথ মন্দির কমিটি (মাটি ভরাট করে আধাপাকা ঘর), ডায়াবেটিক হাসপাতাল,  গোপাল চন্দ্র দাস (একটি দোচালা টিনের ঘর), রাধা চন্দ্র দাস  (দোচালা টিনের ঘর), প্রহল্লাদ (দোচালা টিনের ঘর), বগুড়া পৌরসভা (মাটি ভরাট করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ)।
নাটাই মৌজায়  সাইদুল ইসলাম (চায়ের দোকান), জামাল (টিনের পানের দোকান), মশিউর রহমান (চায়ের দোকান), লুৎফর রহমান (টিনের ঘর), আরিফা বেগম (টিনের ঘর), কাশেম (টিনের চালার ঘর, টিনের বেড়া), বজলুর রশিদ (মাটি ভরাট করে ইটের দেয়াল দিয়ে গাছ রোপন), বজলার (মাটি ভরাট করে টিনের চালা ঘর), মিলটন (মাটি ভরাট করে ৯৮টি ইউক্যালিপটাস গাছ রোপন, গৌর (মাটি ভরাট করে গাছ রোপন), অনিল কর্মকার (মাটি ভরাট করে গাছ রোপন)


বারবাকপুর মৌজায় আরিফ (মাটি ভরাট করে গাছপালা রোপনসহ টিনের ঘর)


মহিষবাথান মৌজায় (টিএমএসএস ৪.৯০ একর জমিতে মাটি ভরাট করে আধাপাকা ঘর, ক্যান্টিন, ছাত্রাবাস পুকুর ও নার্সারি)। বাদবাকি ৭টি স্থানে ময়লা ও আবর্জনার স্তুপ এবং একটি স্থানে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এসব দখলদারকে উচ্ছেদের জন্য ইতিপূর্বে একাধিকবার নোটিশ দেয়া হয় এমনকি মামলাও করা হয়। কিন্তু তার পরেও তাদের উচ্ছেদ করা যায়নি। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য ৭ দিনের সময় দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। তবে ওইসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এখন পর্যন্ত শুধু ডায়াবেটিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।


অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রস্তুতকারক বগুড়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তমাল হোসেন জানান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিন বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দিবেন। যোগাযোগ করা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের ভাটকান্দি এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে।