শুক্রবারও চলবে

বগুড়ায় করতোয়া নদী দখলমুক্ত অভিযানের প্রথম দিন ৯টি স্থাপনা ভাঙ্গা হলো

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০১৯ ১২:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৬ বার।

বগুড়ায় করতোয়া নদীর দখলদার উচ্ছেদে শুরু হওয়া অভিযানের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার শহরের ভাটকান্দি এলাকা থেকে এসপি ব্রীজের আগ পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকায় ৯টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চলে। উচ্ছেদ অভিযানের সমন্বয়কারী বগুড়া সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) তমাল হোসেন জানান, অভিযানকালে তালিকা প্রস্তুতের পর নির্মাণ করা বেশ কিছু স্থাপনাও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তিনি জানান, শুক্রবার এসপি ব্রীজ এলাকা থেকে আবারও অভিযান শুরু করা হবে।

প্রথম দিনের অভিযানকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বগুড়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী  হাসান মাহমুদ, বগুড়া সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) তমাল হোসেন, বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীসহ পুলিশ, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিন বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

বগুড়া জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বগুড়া সদর উপজেলার দক্ষিণে ভাটকান্দি থেকে উত্তরে মহিষবাথান এলাকায় পাঁচটি মৌজায় করতোয়া নদীর দুই তীরে ৩৮টি স্থানে নদীর জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩১। বাদবাকী ৭টি স্থানে আবর্জনা এবং বালু উত্তোলন করে রাখা হয়েছে। দখলদারদের তালিকায় বগুড়া পৌরসভা, ডায়াবেটিক সমিতির হাসপাতাল ও বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএসের নামও রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ওইসব দখলদারকে উচ্ছেদের জন্য ইতিপূর্বে একাধিকবার নোটিশ দেয়া হয় এমনকি মামলাও করা হয়। কিন্তু তার পরেও তাদের উচ্ছেদ করা যায়নি। সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য ৭ দিনের সময় দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর এখন পর্যন্ত শুধু ডায়াবেটিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো তা না করায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে উচ্ছেদ অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন।

তবে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযানের শুরুতে ভাটকান্দি ব্রীজ সংলগ্ন একটি মসজিদ উচ্ছেদ করতে গিয়ে আভিযানিক দলটি এলাকাবাসীর তীব্র বাধার মুখে পড়ে। শত শত নারী মসজিদটিকে ঘিরে রেখে তা উচ্ছেদে বাধা দেন। এলাকাবাসীর বাধার মুখে ওই মসজিদ বাদ রেখে অন্য স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ চালানো হয়।
বগুড়া সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) তমাল হোসেন জানান, রেকর্ড অনুযায়ী মসজিদটি নদীর জায়গাতেই নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু স্থানীয় জনগণ দাবি করেছে যে সেটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি তাই আবারও তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।