বনানীতে আগুনে নিহত সান্তাহারের মিথির দাফন সম্পন্ন
আদমদীঘি উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
ঢাকার বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নকিাণ্ডে নিহত তানজিলা মৌলি মিথির লাশ শুক্রবার বাদ জুম’আ জানাজা শেষে বগুড়ার সান্তাহারে পারবিারকি কবরস্থানে দাফন করা হয়ছে। জানাজা ও দাফনরে সময় আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থতি ছিলেন।
বৃহস্পতবিার দুপুরে এফ আর টাওয়ারে সৃষ্ট অগ্নকিাণ্ডে মিথিসহহ অন্তত ২৫জন নহিত হন। আহত হয়ছেনে আরও ৭০জন। মিথি ওই ভবনে একটি ট্যুরজিম প্রতষ্ঠিানে কর্মরত ছিলেন। ওই একই ভবনে তার স্বামী রায়হানুল ইসলাম বেসরকারি একটি এয়ার লাইন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তবে অগ্নিকাণ্ডের সময় মিথির স্বামী বাইরে ছিলেন। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে তার লাশ সান্তাহার পৌরসভার বশপিুর মহল্লায় বাবার বাড়িতে আনা হলে শোকাবহ পরস্থিতিরি সৃষ্টি হয়।
স্বজনরা জানান, সান্তাহার পোৗরসভার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদের কন্যা তানজিলা মৌলি মিথির সাথে প্রায় ৮ মাস আগে কুমিল্লার বাসিন্দা রায়হানুল ইসলামের বিয়ে হয়। তারা দু’জন ঢাকার মিরপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মিথির বড় চাচা সালাউদ্দিন জানান, মিথি যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিল তার অবস্থান এফআর টাওয়ারের দশ তলায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে আগুন লাগার পর পরই মিথি মোবাইল ফোনে স্বজনসহ সকলের কাছে ফোন করে তাকে উদ্ধারের অনুরোধ জানায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওই টাওয়ারের ভেতর থেকে তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে সঙ্গে থাকা পরিচয়পত্র দেখে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর মিরপুরে মিথির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পবিরারের সদস্যরা জানান, তানজিলা মৌলি মিথি সান্তাহার হার্ভে স্কুল থেকে এসএসসি এবং সান্তাহার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করার পর ঢাকায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নামে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছিলেন।