বগুড়ায় করতোয়া নদী দখলমুক্তকরণ অভিযানঃ দ্বিতীয় দিনে আরও ১২টি স্থাপনা ভাঙা হলো

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০১৯ ১২:৩৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৩ বার।

বগুড়ায় করতোয়া নদীর দখলদার উচ্ছেদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার আরও ১২টি অবৈধ স্থাপনা  ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের মালতিনগর এসপি ব্রীজ এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। ওই অভিযানের সমন্বয়কারী বগুড়া সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) তমাল  হোসেন জানান, অভিযানকালে এসপি ব্রীজের পাশে অবস্থিতি বগুড়া কলেজের ৯টি পিলার নদীর সীমানায় পড়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। এরপর সেগুলো অপসারণের জন্য কলেজ প্রশাসনকে জানালে তারা তাতে সম্মত হন।

করতোয়া নদীর দখলদার উচ্ছেদে ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন। প্রথমদিন শহরের ভাটকান্দি থেকে এসপি ব্রীজের আগ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় ৯টি স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়। তবে প্রথমদিন অভিযানের শুরুতে ভাটকান্দি ব্রীজ সংলগ্ন একটি মসজিদ উচ্ছেদ করতে গিয়ে আভিযানিক দলটি এলাকাবাসীর তীব্র বাধার মুখে পড়ে। শত শত নারী মসজিদটিকে ঘিরে রেখে তা উচ্ছেদে বাধা দেন। এলাকাবাসীর বাধার মুখে ওই মসজিদ বাদ রেখে অন্য স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ চালানো হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, রেকর্ড অনুযায়ী মসজিদটি নদীর জায়গাতেই নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু স্থানীয় জনগণ দাবি করেছে যে সেটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি তাই আবারও তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।

বগুড়া জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বগুড়া সদর উপজেলার দক্ষিণে ভাটকান্দি থেকে উত্তরে মহিষবাথান এলাকায় পাঁচটি মৌজায় করতোয়া নদীর দুই তীরে ৩৮টি স্থানে নদীর জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩১। বাদবাকী ৭টি স্থানে আবর্জনা এবং বালু উত্তোলন করে রাখা হয়েছে। দখলদারদের তালিকায় বগুড়া পৌরসভা, ডায়াবেটিক সমিতির হাসপাতাল ও বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএসের নামও রয়েছে।

দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য ইতিপূর্বে একাধিকবার নোটিশ দেয়া হয় এমনকি মামলাও করা হয়। কিন্তু তার পরেও তাদের উচ্ছেদ করা যায়নি। সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য ৭ দিনের সময় দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর এখন পর্যন্ত শুধু ডায়াবেটিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো তা না করায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে উচ্ছেদ অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন। উচ্ছেদ অভিযানের সমন্বয়কারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তমাল হোসেন জানান, তালিকা ধরে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।