করতোয়া মাল্টিমিডিয়া স্কুল এন্ড কলেজে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

শিক্ষার্থীদের কাগুজে বই থাকবে না : মোস্তফা জব্বার

পুন্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০১৯ ১৬:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৯৫ বার।

আগামীর শিক্ষা ব্যবস্থা হবে সবটাই ডিজিটালাইজড। স্কুল, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও খেলার মাঠসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় অনুষঙ্গ ঠিক থাকলেও থাকবে না শুধু শিক্ষার্থীদের কাগুজে বই। এর পরিবর্তে সবার হাতে থাকবে ট্যাব। ২০২১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ পুরোটাই হবে ডিজিটাল। বাংলাদেশ একটি রূপান্তরকাল পার করছে। এই রূপান্তরের যাত্রাটা শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। গত ১০ বছরে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। আগামি ২১ সালের মধ্যে রূপান্তরের পরিপূর্ণ ফল পাওয়া যাবে। তখন সরকারের কোনো সেবা নিতে আর দপ্তরে দপ্তরে যেতে হবে না, হাতে থাকা ডিভাইসের মাধ্যমেই সরকারই জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। বগুড়া করতোয়া মাল্টিমিডিয়া স্কুল এন্ড কলেজে শনিবার বার্ষিক ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে রাতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় তিনি তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

 

শনিবার সকাল থেকেই প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানটি দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। যার প্রথম পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দ্বিতীয় পর্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।এসময় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সুলতানা নাজনীন রানু এবং হাবিবা। 
 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষনা করেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ছামছুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন করতোয়া গ্রুপের পরিচালক মোহসিনা হাসনাত, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জাহেদুর রহমান।
 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক মোজাম্মেল হক বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন চর্চার অনুশীলনও থাকতে হবে। শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় একাডেমিক ফলাফল হয়তো ভালো করা যায়, কিন্তু বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যায় না। তাই ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি সহ শিক্ষার চর্চা করতে হবে। শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ছামছুল হক বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা করলে শরীর ও মন দুটিই ভালো থাকে। এছাড়া সাংস্কৃতিক চর্চা জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। তাই ছোটবেলা থেকেই তোমাদের সব রপ্ত করতে হবে। তবেই তোমরা পরিপুর্ণ মানুষ হবে।
 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আদ্রিতা হোসেন, ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রত্যাশা, তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাজাহ নূর নহোর, একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আসিফা জামান, সিনথিয়া, নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জেনিম। নাচ পরিবেশন করে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী অরুনিমা রায়, তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী অদ্রিজা সরকার, দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সারাফ সাফওয়ানা আকশা। 
 

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কর্মোদ্যোগকে অনুপ্রাণিত করার অংশ হিসেবে প্রতি বছারের মত এবারও বার্ষিক ক্রীড়ার পাশাপাশি বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথম স্থান অর্জনকারীদের রবিবার প্রতিষ্ঠান চত্বরে পুরস্কার দেওয়া হবে। 
 

প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সফরসঙ্গী বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুঁইসহ আরও অনেক উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুঁই জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের ওপর ঘন্টব্যাপি এক কর্মশালা পরিচালনা করেন। করতোয়া মাল্টিমিডিয়া স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে অনুরূপ এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।